বাধাহীন কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ আজ
কুমিল্লার টাউন হল মাঠে আজ বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ হবে দলটির ৮টি সাংগঠনিক বিভাগের গণসমাবেশ। তবে অন্যান্য সমাবেশের থেকে এটি অনেকটাই ব্যতিক্রম। এবার ডাকা হয়নি কোনো পরিবহন ধর্মঘট, দেওয়া হয়নি কোনো বাধা। ফলে এ সমাবেশ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীর মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ ও উচ্ছ্বাস।
এরই মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠ। আজ সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা। মধ্যরাতেও স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল নগরীর টাউন হল মাঠ।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, কুমিল্লায় স্মরণকালের সেরা সমাবেশ হতে যাচ্ছে। এই সমাবেশ কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণায় শুক্রবার বিকালেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে সমাবেশস্থল। তিল ধারণের জায়গা নেই।
অবশ্য অন্য বিভাগীয় সমাবেশগুলো পরিবহন ধর্মঘটসহ নানা বাধা বিপত্তির সামনে পড়লেও কুমিল্লায় তেমন কিছুর মুখোমুখি হননি বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফলে নেতাকর্মীদের জনস্রোত আরও বাড়বে বলে আশা বিএনপি নেতাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাউন হল মাঠ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ স্মার্টফোনে লাইভ করছেন, কেউবা সেলফি তুলছেন। মাথায় ক্যাপ, বুকে নেতাকর্মীদের ছবি সংবলিত টিশার্ট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে।
নোয়াখালী থেকে আসা বিএনপিকর্মী আফজাল হোসেন বলেন, সরকার পতন আন্দোলনে ঘর থেকে বের হয়েছি। খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়ে আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি।
লক্ষ্মীপুর থেকে আসা কৃষকদলের নেতা জহিরুল ইসলাম সুমন বলেন, আমরা তিন দিন আগে কুমিল্লায় এসেছি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর ফ্ল্যাটে অবস্থান নিয়েছি। সেখানেই আমাদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। সাক্কুর পক্ষ থেকে ৭৮টি ফ্ল্যাটে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, গুলিতে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। কুমিল্লার বিভাগীয় এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কুমিল্লার এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ হবে দলটির ৮টি সাংগঠনিক বিভাগের গণসমাবেশ। এরপর রাজশাহী ও ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে কর্মসূচি।