রাবিতে অবিলম্বে রাকসু নির্বাচন ও সিনেট কার্যকরের দাবি « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

রাবিতে অবিলম্বে রাকসু নির্বাচন ও সিনেট কার্যকরের দাবি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ নভেম্বর, ২০২২ | ২:৫৭
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ নভেম্বর, ২০২২ | ২:৫৭
Link Copied!
রাবিতে অবিলম্বে রাকসু নির্বাচন ও সিনেট কার্যকরের দাবি -- বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ও পূর্ণাঙ্গ সিনেট কার্যকরের দাবি জানিয়েছে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ। বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তারা এ দাবি জানান ।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, রাকসু নির্বাচনের জন্য আমরা বার বার প্রশাসনের কাছে যাচ্ছি । কিন্তু প্রশাসন রাকসু নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অন্যদিকে তারা সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু করে সার্টিফিকেট বিক্রির প্রতিষ্ঠান খুলে বসে আছে। পোষ্য কোটার নামে শিক্ষক, কর্মচারীদের সন্তানদের ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হচ্ছে। একজন শিক্ষক যখন তার সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির যোগ্য করে তুলতে পারছে না সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিভাবে যোগ্য করে তুলেবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাকসু দিতে পারছে না কারণ তারাও সিনেটের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। তারা দলীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। তারা দলীয় স্বার্থের বাইরে যেতে পারে না। দলীয় অঙ্গ সংগঠনগুলো যা করছে তার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছে না। দলীয়ভাবে উপাচার্য বা উপ-উপাচার্য হয়ে আসলে এগুলো দেখা সম্ভব না। প্রশাসন শুধু মুখে বলে যে তারা রাকসু চায় এটা আসলে তাদের মুখের কথা।

বিজ্ঞাপন

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো ক্যাম্পাসে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে প্লাটফর্মে কথা বলবে সেটা নেই। রাকসু আমাদের চাওয়া নয়, রাকসু আমাদের অধিকার। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি-দাওয়া জমার জায়গা পাচ্ছে না আবার পেশ করতে গেলেও প্রশাসন তাদের দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান বলেন, রাকসু শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, যেখানে গণতান্ত্রের চর্চা হয়। শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ নিয়ে কাজ করে রাকসু। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘ তিন দশক ধরে বন্ধ করে রেখেছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা কথা বলার জায়গা পাচ্ছে না। তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, হলে সিট পাচ্ছে না। হলগুলোতে সিট বাণিজ্যের কারখানা গড় উঠছে। কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। সবকিছুর নির্বাচন হচ্ছে কিন্তু রাকসু নির্বাচন দিতে প্রশাসন ভয় পাচ্ছে। কারণ রাকসু কার্যকর হলে তাদের অনৈতিক কাজগুলো আর করতে পারবে না। অনতিবিলম্বে রাকসু নির্বাচন দেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান এ শিক্ষার্থী।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সংগঠক মুক্তাকিন রৌদ্র, উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিমুল ইসলাম প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

বিষয়ঃ: