ডিপফেক নিয়ে সরব হয়েছেন তারকারা « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

ডিপফেকের কারণে প্রকৃত ঘটনা চাপা পড়ে যাচ্ছে

ডিপফেক নিয়ে সরব হয়েছেন তারকারা

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১২:২১
অনলাইন নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১২:২১
Link Copied!
ছবি সংগৃহীত: ডিপফেকের কারসাজিতে রাশমিকা -- বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

সম্প্রতি বিনোদন দুনিয়ায় নতুনভাবে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিপফেক। বিভিন্ন তারকাদের ছবি ও ভিডিও কারসাজি খুবই বাজেভাবে করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ইন্টারনেটে। এতটা সূক্ষ্মভাবে এসব তৈরি করা হচ্ছে যে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আসল-নকলের পার্থক্য করা কঠিন। প্রযুক্তির এই অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দেশ-বিদেশের তারকারা।

ডিপফেক নিয়ে বড়সড় আলোচনা তৈরি হয় গত নভেম্বরের শুরুর দিকে। দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। যেখানে অন্য এক নারীর মুখের ওপর বসিয়ে দেওয়া হয় রাশমিকার মুখ।

প্রথমে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেননি ভিডিওটি আসল কি না। কয়েক দিন ইন্টারনেটে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলে। অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে অনেক তারকা এ বিষয়ে সরব হন। মুখ খোলেন রাশমিকাও।

বিজ্ঞাপন

রাশমিকা বলেন, ‘ডিপফেক ভিডিও ছড়ানোর প্রবণতা বেশ কিছু দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এটাকে স্বাভাবিক বানিয়ে ফেলেছি, যেটা মোটেও উচিত নয়। এটা সত্যিই খুব ভয়ানক। আমার সঙ্গে এটা যদি স্কুল বা কলেজজীবনে ঘটত, কীভাবে এ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতাম জানি না। আমি আনন্দিত যে, এ ঘটনায় বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন।

এখন বুঝতে পারছি, এটা নিয়ে কথা বলা কতটা জরুরি। আমি প্রত্যেক মেয়েকে বলতে চাই, কারও সঙ্গে এ রকম ঘটলে তাঁরা যেন চুপ না থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।’

রাশমিকার এ ঘটনার কিছুদিনের মধ্যে ডিপফেকের আক্রমণের শিকার হন বলিউডের তিন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল ও আলিয়া ভাট। এরপর স্বাভাবিকভাবেই বিনোদন দুনিয়ায় ডিপফেক নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষ করে নারী তারকারা আতঙ্কিত ডিপফেকের এই ভয়াবহতা নিয়ে। কীভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রীরাও।

বিজ্ঞাপন

অবশ্য এই ডিপফেক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, মিডিয়া জগতে কিংবা বিনোদন জগতে বিভিন্ন scandal আমরা অনেক দেখেছি। কিন্তু এই ডিপফেকের দোহাই দিয়ে অনেকেই এখন নিজের অপরাধ অস্বীকার করার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ প্রকৃত অপরাধী বা অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে বেড়ানো তারকাদেরকে আপনি চাইলেও কিছু বলতে পারবেন না। তবে আমরা চাই, ইন্টারনেটের এমন অপপ্রয়োগ বন্ধ হোক। এটা সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের জন্যই চরম হুমকি।

বিষয়ঃ: