সীতাকুণ্ডে এমপি মামুনের ইফতার মাহফিলে ইফতার পাননি শতাধিক এতিম রোজাদার « বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

সীতাকুণ্ডে এমপি মামুনের ইফতার মাহফিলে ইফতার পাননি শতাধিক এতিম রোজাদার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেটঃ ১৭ মার্চ, ২০২৪ | ৮:৪৫
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেটঃ ১৭ মার্চ, ২০২৪ | ৮:৪৫
Link Copied!
ইফতার মাহফিল -- বিডিনিউজ৯৯৯ডটকম

মোঃ জয়নাল আবেদীন:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চট্টগ্রাম-০৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এস এম আল মামুন’র সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে ইফতারের প্যাকেট পাননি শতাধিক রোজাদার।যাদের মধ্যে ছিল শিশু রোজাদার সহ অন্যান্যরা।

আজ ১৬ মার্চ শনিবার বিকাল তিনটায় সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইফতার ও সংবর্ধনার আয়োজন করে সীতাকুণ্ড সমাজ কল্যাণ ফেডারেশন।এসময় বিকাল তিনটায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের বক্তব্য শেষে ইফতারের প্যাকেট বিতরণ করেন সংগঠকরা।

পরে ইফতার বিতরণ শেষে দেখা যায় অনুষ্ঠানে আসা এতিম ও অন্যান্য সংগঠনের প্রায় দুই শতাধিক রোজাদার ইফতারের প্যাকেট না পেয়ে আযানের ঠিক ৫ মিনিট পূর্বে ফিরে যান।এতে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আয়োজকদের উপর।

বিজ্ঞাপন

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল ফাউন্ডেশনের নেতা মোঃ ইউনুছ বলেন, ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান থেকে দুই শতাধিক রোজাদার ইফতারের প্যাকেট না পেয়ে ফিরে গেছেন।ইফতারের আযান দেওয়ার আগ মুহূর্তে এমন অমানবিক কাজ সহ্য করা যায় না।এটা বাটপারি ছাড়া কিছুই না।তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা বলতে কিছুই ছিলনা।

ইফতার মাহফিলে আসা এক মাদ্রাসা শিক্ষক বলেন, আমাদের প্রায় ৯৫ জন মাদ্রাসা ছাত্র সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।আমাদের অনেকেই ইফতার পাইনি।শেষ মুহূর্তে আয়োজকরা আমাদের শিশুদের ইফতার করার জন্য টাকা দিয়ে দেন।

ইফতার মাহফিলে আয়োজকদের এমন হঠাৎ সিদ্ধান্তে হকচকিয়ে যান রোজাদাররা।তাছাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজকদের শৃঙ্খলা ছিলনা বলে জানান অনেকেই।

বিজ্ঞাপন

সীতাকুণ্ড সমাজ কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা লায়ন গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা আয়োজন করেছি প্রায় ৬০০ জনের মতো।কিছু লোক ইফতারের আগ মুহূর্তে এসেছেন।অনেককেই আমরা ক্যাশ টাকা দিয়েছি।অথচ আমরা শুধু সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কে আমন্ত্রণ করেছিলাম।এটা নিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন অপপ্রচার চালাচ্ছে।যারা ইফতার পাইনি তারা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করে খেয়েছে।আর রোজার নিয়ম হচ্ছে শেয়ার করা অথ্যাৎ ভাগাভাগি করে খাওয়া।

মাদ্রাসার শিশু রোজাদাররা ফিরে যাওয়ার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, তাহফিজুল মাদ্রাসার শিক্ষকদের দিয়েছি ৫ হাজার টাকা।তাদেরকে বাজার থেকে ইফতার কিনে এবং পানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

ইফতারের দাওয়াতের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠকরা আমাদের সংগঠন থেকে ৫/৭ জন দাওয়াত দিয়েছে।তাছাড়া আমাদের সীতাকুণ্ড সমাজ কল্যাণ ফেডারেশন থেকে মেসেজ ও পাঠানো হয়েছে।প্রমান চাইলে তিনি মেসেজটি প্রতিবেদকের কাছে পাঠান।

অথচ সীতাকুণ্ড সমাজ কল্যাণ ফেডারেশন বলছে অন্য কথা।সংগঠনটি বলছে প্রত্যেক সংগঠন থেকে দুইজন করে দাওয়াত দেয়া হয়েছে।

বিষয়ঃ: