খুলনায় পুলিশ-শিক্ষার্থী দফায় দফায় সংঘর্ষ, কনস্টেবল নিহত
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের হয়েছে। সংঘর্ষে অর্ধশত আহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ। এ সময় এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।
কনস্টেবল মোহাম্মদ সুমন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক। আরও কত পুলিশ আহত হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কতজন পুলিশ আহত হয়েছেন তা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল।’
শুক্রবার (২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দীর্ঘ চার ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের সংঘর্ষে নগরীর গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আহতদের মধ্যে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র শফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আফরান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাইয়াজ, নর্থ ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাফিদ, সেন্ট যোসেফ স্কুলের ছাত্র মুগ্ধ, খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ইউসুফ, স্কুলছাত্র জাহিদুল (১৫), মাদ্রাসা ছাত্র সৌরভ (১৩), রনির (২০) নীরবের (২১) নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ছাত্রীও রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত একজন ছাত্রী, একজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম, সোহানুর রহমান ও রাজু আহমেদ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষকালে পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নগরীর গল্লামারী এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ পরিস্থিতিতে খুলনা মহানগরীর মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।