খুঁজুন
বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৭ পৌষ, ১৪৩১

সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ণ
সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বিগত স্বৈরাচার সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ঢাকতে সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রংপুরের মিঠাপুকুরে নিহত ফায়ার ফাইটার সোহানুর জামান নয়নের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আগুনে চার-পাঁচটা মিনিস্ট্রির ফাইল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে। এটা গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ। স্বৈরাচার সরকার মানুষের টাকা যেভাবে আত্মসাৎ করেছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাদের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫০ মিলিয়ন ডলার পাচারের ঘটনা সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এটাতো একটি মাত্র ঘটনা। আরও এমন অনেক ঘটনা আছে সেগুলো চাপা দেওয়ার জন্য নয় তলা ভবনে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের একজন মুখ্য সচিব অনেক টাকা পাচার করেছেন। যে ফাইলগুলো পুড়ে গেছে সেখানে তার ফাইলগুলো ছিল। এ আগুনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। পরাজিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনো অনেক জায়গায় আছে। আমলাতন্ত্র, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন জায়গায় তারা আছে। সবাইতো এখনো পরিবর্তন হয়নি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা ঘাপটি মেরে আছে। কোথায় কী ধরনের নাশকতা ও চক্রান্ত হচ্ছে তার কোনো ঠিক নেই।

হাসিনার পক্ষে ভারত ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গোটা পৃথিবীর সমস্ত দেশ ও রাষ্ট্রনায়করা স্বৈরাচারের পতন ও নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রত্যেকের প্রতি তারা সংহতি জানিয়েছেন। কিন্তু একটি দেশ সংহতি জানাতে দ্বিধা করছে। সেই দেশটি হলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। তারা শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের নতুন বয়ান তৈরি করছে যাতে শেখ হাসিনার অপকর্মগুলোকে ঢাকা যায়।

বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আবু সাঈদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। পরে জীবন দিয়েছে নয়ন। সেও রংপুরের ছেলে। সেদিনের আগুন নেভানোর জন্য যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছেন তিনি। দেশের চলমান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের অন্যতম শহীদ নয়ন। স্বৈরাচারের দোসরদের বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত ঠেকাতে গিয়ে জীবন দিচ্ছেন তার মতো ছেলেরা। শুধু একটি শোক জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।

এর আগে সকালে মিঠাপুকুরের বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান আটপুনিয়া গ্রামে নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের বাড়িতে যান তিনি। পরে তার কবর জিয়ারত শেষে পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

‘বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের’ কারণে সচিবালয়ে আগুন: তদন্ত কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
‘বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের’ কারণে সচিবালয়ে আগুন: তদন্ত কমিটি

বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের (দুর্বল সংযোগ) কারণে সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর এ তথ্য জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে লুজ কানেকশন থেকে আগুনে সূত্রপাত। এতে কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনা কোন নথি পুড়ে যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি। পাশাপাশি ভাঙতে হবে না ক্ষতিগ্রস্ত ভবনও।’

এ সময় তদন্ত কমিটি সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব হাসান বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলোতে কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সার্চ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস থেকে যে নমুনা পাওয়া গেছে তাতেও কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।’

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘করিডরে আগুন থাকায় নেভাতে দেরি হয়েছে, কলাপসিবল গেইট থাকায় তা কেটে ভিতরে ঢুকতে হয়েছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে আগুন বেশি ছড়িয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানি ছিল না।’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। টানা ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। তবে আগুনে ভবনটির চারটি তলায় অবস্থিত স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

‘বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
‘বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়’

বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আখতার হোসেন বলেন, এ দেশের মানুষ এক নতুন বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়। বাংলাদেশের মানুষ সংস্কার চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ যখন জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠের আয়োজনের ঘোষণা দেয় তখন অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক সংগঠনের সমন্বয়ে ঘোষণাপত্র পাঠের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই নতুন সংবিধান হবে। আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। সে নির্বাচনে নির্বাচিতরাই সংবিধান সংশোধন করবে। বাংলাদেশের মানুষের অসংখ্য চাওয়া আছে, আগামীর নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন তাদের সেই চাওয়াগুলো পূরণ করতে হবে।

এদিকে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যম এ কর্মসূচি শুরু হয়।

এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান ছেলের স্মৃতিচারণ করেন। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, অভ্যুত্থান পরবর্তী জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কথা জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত আসায় আগের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসেছে সংগঠনটি।

নরসিংদীর মাধবদী থানায় হামলা, ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদী থানায় হামলা, ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা

মাধবদী থানা থেকে ডাকাতি মামলার আসামি এবং জব্দকৃত মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম।

সূত্রে জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী, পুরিন্দা, ছনপাড়াসহ এসব এলাকায় সড়ক গুলিতে মালবাহী ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রতিনিয়ত আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।

জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে একটি তেলবোঝাই ট্রাক ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। তেল বোঝাই ট্রাকটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী এলাকা থেকে ছিনতাই করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। ওই ঘটনায় তেলের মালিক মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরই ভিত্তিতে মাধবদী টাটাপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের পৌরসভার সাবেক কমিশনার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তানবির হোসেনকে আটক করে মাধবদী থানা পুলিশ।

আরো জানা যায়, সোমবার দুপুরে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এরই জের ধরে জব্দকৃত মোটরসাইকেলের লোকজন এবং মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলে তানবির হোসেনের সমর্থকরা মাধবদী থানায় হামলা চালায়। ওই সময় থানার জানালার গ্লাসসহ বেশ কিছু স্থানে ভাঙচুর চালায় তারা। পরে নরসিংদী গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে থানা হাজতে থাকা অভিযুক্ত তানভির ও জব্দকৃত মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিতে পারেনি হামলাকারীরা।

এ বিষয়ে মাধবদী থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আসামি ছিনিয়ের নেয়ার জন্য কিছু দুষ্কৃতিকারী থানার গেইটে হামলা করেছিল। সোমবার দুপুরে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আমরা ধারনা করছি, এই দুইটির একটি কারণে দুর্বৃত্তরা থানায় হামলা করেছে। তবে আমরা এলার্ট ছিলাম। তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। অভিযুক্তরা থানায় নিরাপদে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে, মাধবদী সাবেক দেলোয়ার কমিশনারের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও ওনার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি তো ভাই অসুস্থ চিকিৎসার জন্য ২৮ তারিখে থাইল্যান্ড চলে আসছি। তানভীর পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে। কে বা কাহারা ভাঙচুর করেছে এটা আমি জানি না।