একের পর এক অভিযোগের চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশ সমালোচনা চলছে তাকে নিয়ে। তার পদত্যাগের পরও এই সমালোচনা শেষ হয়নি। এমনকি টিউলিপের কারণে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নিজ দলের সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। কারণ টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের খুব কাছের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এবার টিউলিপ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী নিজেই একজন দুর্নীতিবাজ।
দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত টিউলিপ সিদ্দিকির পদত্যাগের বিষয়ে মারিও নাউফালের একটি টুইট বার্তা শেয়ার করে এ কথা লিখেন তিনি।
তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ। তার মতে, সরকারকে ‘বিভ্রান্তি’ থেকে দূরে রাখতে পদত্যাগ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে সিদ্দিকের জায়গায় এমা রেনল্ডসকে নিয়োগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
মূলত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। গত বছর তার দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি দেশটির ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মূলত মন্ত্রী তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।
কিন্তু লন্ডনের ফ্ল্যাট থেকে আয় লুকানো, লন্ডনে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট উপহার, ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা এবং অন্তঃসত্ত্বা এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়াসহ বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগসহ নানা ধরণের অভিযোগ উঠতে থাকে টিউলিপের বিরুদ্ধে।
এমন অবস্থায় ব্যাপক চাপের মুখে গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হন টিউলিপ।