ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অবশেষে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শর্ত মোতাবেক হামাস মুক্তি দিতে যাওয়া তিন জিম্মির নামের তালিকা না দেওয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে বিলম্ব করে ইসরায়েলি প্রশাসন। সেইসঙ্গে গাজায় হামলা চালিয়ে ১০ ফিলিস্তিনিকে হত্যাও করে দখলদার বাহিনী। আজ রবিবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। খবর বিবিসির।
হামাস পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স বলেছে, সকালে যে সময় থেকে যুদ্ধবিরতি শুরুর কথা ছিল, সেই সময় থেকে বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জন গাজা সিটিতে, তিনজন উত্তরাঞ্চলে এবং একজন রাফায় প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে তিন নারী জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তারা হলেন রোমি গোনেন, এমিলি দামানি এবং দোরোন স্টেনব্রিচার। হামাস নিশ্চিত করেছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এই তিন নারী সবার প্রথমে মুক্তি পাবেন।
এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোও জানিয়েছে, হামাস তাদের কাছে তিন জিম্মির নাম হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরও যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত জিম্মিদের নামের তালিকা না দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।
সে অনুযায়ী, সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও; নেতানিয়াহু তার সেনাদের হামলা বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। আর ইসরায়েলি সেনারাও গাজায় হামলা অব্যাহত রাখে। এতে করে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার দিনই ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হন।