নরসিংদীর শিবপুরে থার্মেক্স গ্রুপের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়। এই ঘটনায় দেলোয়ারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে দেলোয়ার বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় বাদল মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা করেন, মামলা নং-২৬/২৫।
জানা যায়, এ সংঘর্ষের ঘটনায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশ আজ (২৭ জানুয়ারি) প্রধান আসামি বাদল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ পাহারায় বাদল মোল্লাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় আজিজুল গ্রুপের লোকজন ঝুটের গাড়ি বের করার চেষ্টা করলে বাদল মোল্লা ও শামিম মোল্লা গং চুরি, লাঠি-সোটা নিয়ে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বাদল মোল্লার লাঠিয়াল বাহিনী দেলোয়ারকে কুপিয়ে শাকিল ও আজিজুলকে গুরুতর জখম করে। এ সময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে একাধিক রাউন্ড গুলি শব্দ হয় বলেও জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদল মোল্লার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠেছে।
আহত দেলোয়ার জানান, বাদল মোল্লা ও তার সহযোগীরা আমাকে এবং আমার দলের সদস্যদের কুপিয়ে জখম করে। বর্তমানে তারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, এই ঘটনায় দেলোয়ারের হাতে কোপ লেগেছে, আমরা মামলা নিয়েছি। প্রধান আসামি বাদল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামি বাদল মোল্লাকে আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
থার্মেক্স গ্রুপের ঝুট ব্যবসা নিয়ে আগেও ঘটেছে খুনসহ এমন অনেক ঘটনা। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমনটাই বলেন সুশীল সমাজ ও সচেতন ব্যক্তিরা।