![](https://bdnews999.com/wp-content/uploads/2025/02/images-26.jpeg)
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ন্যাক্কারজনক পরিকল্পনার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকা কিনে নিয়ে এর মালিকানা নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
স্থানীয় সময় রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নিউ অরলিন্সে যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প। খবর আলজাজিরার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গাজা উপত্যকা কিনে নিয়ে এর মালিকানা নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গাজাকে একটি ‘বড় রিয়েল এস্টেট সাইট’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোকেও এর পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
নিউ অরলিন্সের সুপার বোলে যোগদানের পথে ট্রাম্প বলেন, এটি (গাজা) পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছু অংশ নির্মাণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকেও দায়িত্ব দিতে পারি। আমাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অন্যরাও এটি করতে পারে।
‘হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত আমরা এটির মালিকানা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও হামাস ফিরে আসার মতো কিছুই নেই এখানে। জায়গাটি একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ট্রাম্প দাবি করেন, ‘আমরা যদি তাদের নিরাপদ স্থানে একটি বাড়ি দিতে পারি-তাহলে তারা গাজায় ফিরে যাওয়ার কথা বলবে না। তারা গাজায় ফিরে যেতে চায় কারণ তাদের কাছে কোনও বিকল্প নেই। যখন তাদের বিকল্প থাকবে, তখন তারা গাজায় ফিরে যেতে চাইবে না।
এদিকে গাজার ক্ষমতাসীন হামাস ট্রাম্পের সর্বশেষ এই প্রস্তাবকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জত আল-রিশেক টেলিগ্রামে শেয়ার করা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজা এমন কোনো সম্পত্তি নয় যা কেনা-বেচা করা যায় এবং এটি আমাদের ফিলিস্তিনি ভূমির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি বলেন, একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর মানসিকতা নিয়ে ফিলিস্তিনি সমস্যা মোকাবিলা করা ব্যর্থতার একটি রেসিপি। ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের বাস্তুচ্যুতি ও নির্বাসন পরিকল্পনা ব্যর্থ করবে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়ে ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি পুনর্গঠন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে। নানা কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত ট্রাম্প বলেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হবে, যা বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান ও আবাসন সৃষ্টি করবে।