![](https://bdnews999.com/wp-content/uploads/2025/02/received_1159942132236152.jpeg)
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রাম থেকে কোটি টাকা মুল্যের ৩৭টি গরু লুট হয়েছে। এছাড়া ৫/৬টি বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ঘরের জনিসপত্র ও সোনাদানা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আসামীদের বাড়িতে লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় ২০ জনকে আসামী করে হরিণাকুন্ডু থানায় নিহত মোশারফ হোসেনের স্ত্রী ময়না খাতুন হত্যা মামলা করেছেন। হত্যা মামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মইনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান জানান, মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে সংঘর্ষে মোশারফ হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ময়না খাতুন বাদি হয়ে একই দিন বিকালে হরিণাকুন্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামী করা হয়।
এদিকে মোশাররফ হোসেন হত্যার পর আসামীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও গোয়াল ঘর থেকে গরু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দলু ও হানেফ গ্রুপের সমর্থকরা বিএনপি নেতা সাইদের ৫টি, আমিরুলের ৩টি, মইনের ২টি, আমিরুলের ৪টি, আব্দুল জব্বারের ৫টি ও আব্দুল আলীমের ৩টিসহ মোট ৩৭ গরু নিয়ে গেছে। লুটকৃত এসব গরুর দাম প্রায় কোটি টাকা হবে বলে বিএনপি নেতা সাইদ জানান।
এছাড়া বাদী পক্ষের লোকজন সাইদের বাড়ি থেকে দুই লাখ ও সারের দোকান থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এ সময় দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে ভাংচুর চালানো হয়। বর্তমান গ্রামটি পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। হত্যা মামলায় আসামী হয়ে বেশির ভাগ পুরুষ গ্রামছাড়া হয়েছে। এই সুযোগে দলু গ্রুপের সমর্থকরা ভাংচুর লুটপাট চালাচ্ছে।
স্থানীয় চাঁদপুর ইউনিয়নের মেম্বর আশরাফ উদ্দীন স্বপন জানান, হাকিমপুর গ্রাম থেকে একাধিক ব্যক্তির গরু লুট কথা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছেন।
এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান জানান, গরু লুট বা বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুরের কোন তথ্য তার কাছে নেই। এমন কোন ঘটনা ঘটলে তো থানায় অভিযোগ আসতো বলে তিনি মন্তব্য করেন।