
গাজাভিত্তিক মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছয় ইসরায়েলি বন্দিকে ছেড়ে দিলেও ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে তেলআবিব।
এটিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ায় আরেকটি সম্ভাব্য ‘বড় সংকট’ বলে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যম জানায়, ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সপ্তম বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে শনিবার ছয় ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। এর মধ্যে চারজন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের আক্রমণের সময় অপহৃত হন।
বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে এদিনই ৬২০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরায়েলের।
তবে বিস্ময়করভাবে এ প্রক্রিয়া আটকে দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাস পরবর্তী জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ‘বিলম্বিত’ হবে।
বন্দি বিনিময়ের সময় হামাস আনুষ্ঠানিকতা দেখানোয় নাখোশ নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠান’ আয়োজন বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে ‘প্রতারণামূলক বিলম্ব’ এবং ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে হামাস।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে হামাসের পক্ষ থেকে ছয় জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর বাকি সব বন্দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে তেলআবিবে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে ইসরায়েলিরা।