
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই ও নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় পৌর সভার দৈলেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে বুধবার রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. সজিবকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সজিব উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত সবুজ মিয়ার ছেলে।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা মামলা থেকে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি এলাকার ৪০ বছর বয়সী ওই ভূক্তভোগী নারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সহকারী বাবুর্চির কাজ করেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার দেবর কামাল হোসেনকে নিয়ে মদনপুর এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোনকে দেখে ওই নারী ও তার দেবর সিএনজি যোগে রাতে সোনারগাঁয়ের কৃষ্ণপুরা এলাকায় উদ্দেশ্যে তার খালাতো ভাইয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দিলে পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিলারবাগ এলাকায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী সজিবের নেতৃত্বে মো. হাসান, মো. আকাশ, মো. অয়ন, ফরিদ ওরফে বোম ফরিদ, সাকিব, সোহান ওরফে জঙ্গী সোহান ও সজিব ওরফে ব্লেড সজিব তাদের বহনকারী সিএনজি গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে দৈলেরবাগ এলাকার লাল মিয়ার পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়িতে নিয়ে যায়।
এসময় তাদের মারধর করে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও নারীর স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরে অন্য একটি কক্ষে ওই নারীকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুয়েত প্রবাসীর গাড়িতে ছিনতাইকালে সজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সজিবের গ্রেপ্তারের খবরে ওই নারী থানায় এসে হাজতে তাকে দেখে চিনতে পেরে ওই নারী রাতেই বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভূক্তভোগী নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।