
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গণঅধিকার পরিষদের রাজধানীর বিজয়নগর কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ও মুখপাত্র ফারুক খান।
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ইসলামি শক্তিকে সহ্য করতে পারছেন না এবং আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “মাহফুজ আলম জাতীয় ঐক্য সংহতি ধ্বংস করেছেন এবং একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে সরকারের উপদেষ্টা পদে বহাল থাকা উচিত নয়।” তিনি দাবি করেন, উপদেষ্টা হিসেবে মাহফুজ আলমের কর্মকাণ্ড দেশের জন্য ক্ষতিকর এবং তার পদত্যাগ হওয়া উচিত।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা জানান, “উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সরকার, হেফাজত, জামায়াত এবং বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে বারবার কটাক্ষ করেছেন। এই ধরনের বক্তব্য দেশের ভিতরে অনৈক্য সৃষ্টি করছে এবং সরকারকে বিভক্ত করছে।”
এদিকে, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসানও একই ধরনের অভিযোগ তুলে বলেন, “আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং মাহফুজ আলম—এই দুই ছাত্র উপদেষ্টার দ্রুত পদত্যাগ করা উচিত।” তিনি বলেন, “এরা কখনো জনগণের স্বার্থে কাজ করেননি, বরং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন। তাই তাদের পদত্যাগ করা প্রয়োজন।”
এদিনের সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান বলেন, “আমরা সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে একটি নতুন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা উচিত।” এই মন্তব্যে তিনি সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অকার্যকারিতা এবং দুর্বলতা তুলে ধরেন।
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ তুলে ধরেছেন। যেখানে তারা বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এসব বক্তব্যের কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলা এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা মনে করছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মাহফুজ আলমের বিতর্কিত মন্তব্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার পারদ সৃষ্টি হয়েছে।