বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।
সকাল ৮টার আগে নুরুল ইসলাম সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৃগাংক শেখর তালুকদারের আগে থেকেই দাখিল করা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। অন্যদিকে সুজনের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান তাঁর আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যাত্রাবাড়ী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আসাদ রিমান্ডের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলাম সুজনকে যাত্রাবাড়ী থানার গোপীবাগের রাইয়ান কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মালিক রফিকুল ইসলামকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য আজ (২২ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
গত ২৮ আগস্ট রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাজিয়া আক্তার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৯৫ জনকে আসামি করা হয়।
গত ১৮ জুলাই রাত ৯টার সময় যাত্রাবাড়ীর মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে সুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় ইমরান হোসেন নামের এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় এবং রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওই মামলায় সকালে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর বিকেলে আবার রিমান্ড বাতিল করা হয়। হাইকোর্ট থেকে ইমরান হোসেন হত্যা মামলায় আগাম জামিন পাওয়ার বিষয়টি নুরুল ইসলাম সুজনের আইনজীবী আদালতকে জানানোর পর বিকেলে রিমান্ড বাতিল হয়। পরে আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।