
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে তিনি সোমবার (১৯ মে) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন।
শনিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাগোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’ অ্যাকাউন্টে ট্রাম্প লেখেন, এই ফোনালাপের বিষয়বস্তু হবে- সেই ‘রক্তস্নান’ বন্ধ করা, যেখানে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫ হাজার রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হচ্ছে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণাটি এমন এক সময় আসল, যখন শুক্রবার(১৬ মে) তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা সরাসরি বৈঠক করেছেন— গত তিন বছরে এটিই ছিল প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের সরাসরি আলোচনা।
এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, শান্তি আলোচনায় প্রকৃত অগ্রগতি পেতে হলে তার এবং পুতিনের সরাসরি কথা হওয়া জরুরি।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমি বিশ্বাস করি না কিছুই এগোবে— আপনি যেটাই পছন্দ করুন না কেন— যতক্ষণ না পুতিন আর আমি একসাথে বসি।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ন্যাটোর বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
শনিবার তিনি আরও লেখেন, আশা করি এটা ফলপ্রসূ একটি দিন হবে, একটি যুদ্ধবিরতি হবে এবং এই অত্যন্ত সহিংস যুদ্ধটি যা কখনোই হওয়া উচিত ছিল না— শেষ হবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শনিবার রুশ সংবাদ সংস্থা তাস-কে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের প্রস্তুতি চলছে। তিনি শুধু জানান, এই আলোচনার প্রস্তুতি চলছে। তবে এর বাইরে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
এদিকে ইউক্রেন, ইউরোপের মিত্র রাষ্ট্রগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর চাপ দিচ্ছে যেন অন্তত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাশিয়া সম্মত হয়। কিন্তু পুতিন সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বরং তুরস্কে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানান, যেটি ট্রাম্পও জেলেনস্কিকে গ্রহণ করতে জোর দেন।
তবে জেলেনস্কি জানান, তিনি শুধুমাত্র তখনই আলোচনায় যাবেন যদি পুতিন নিজে সেখানে উপস্থিত থাকেন। গত শুক্রবার রাশিয়া একটি প্রতিনিধিদল পাঠালেও তা ছিল ‘নিম্নস্তরের’—যা জেলেনস্কি যথেষ্ট মনে করেননি। পুতিন নিজেও আলোচনায় উপস্থিত হননি।
তথ্যসূত্র : সিএনএন