
ঈদযাত্রার চরম ভোগান্তির পর অবশেষে ৬৭ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যান চলাচল। শুক্রবার (৬ জুন) রাতে দিকে যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে মহাসড়কে ফাঁকা পরিস্থিতি দেখা যায়।
মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে কয়েকদিন ধরে চলা যানজট নিরসনে দায়িত্বরত ছিল পুলিশের ছয় শতাধিক সদস্য। নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
মহাসড়কে যানজটের সূত্রপাত ঘটে বুধবার (৪ জুন) ভোর ৪টার দিকে। আশেকপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তৈরি হয়। ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের ঢল, সেতুর ওপর গাড়ি বিকল হওয়া ও দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে যানজট পরিস্থিতি দিনভর এবং রাতজুড়ে অব্যাহত থাকে।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় শুক্রবার সকাল থেকে, যখন যমুনা সেতুর ওপর একাধিক দুর্ঘটনা ও যান বিকলের কারণে টোল আদায় দেড় ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। এতে যানজটের পরিধি বাড়তে বাড়তে ৫০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। যানবাহনের ধীরগতির কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩–৪ গুণ বেশি সময় লেগে যায় যাত্রায়।
চরম ভোগান্তির মধ্যে অনেক যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও বাসের ছাদে যাত্রা করতে দেখা যায়। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, রাতের পর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। রাত ১১টার দিকে পুরোপুরি যানজটমুক্ত হয় মহাসড়কটি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো মহাসড়কে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।