
ইরানের তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় আহত কমপক্ষে ৫০ জনকে তেহরানের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা তাজরিশের চামরান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তাসনিমের মতে, আহতদের মধ্যে ৩৫ জন নারী ও শিশু।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে তেহেরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা ঠেকাতে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইরানের সংবাদমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চলে ইসরাইলের হামলা চালিয়েছে। ইসরাইল এ হামলাকে ‘রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়েছে।
ইসরাইলের চালানো এ হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন
ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামিও। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। বলা হচ্ছে, হামলায় নিহত বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতার মধ্যে সালামিও রয়েছেন।
ইসরাইলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেয়দুন আব্বাসিও নিহত হয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, শুধু আব্বাসি নন, মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি নামের একজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী এ হামলায় নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদন মতে, তেহরানে আবাসিক ভবনে ইসরাইলি হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ‘তেহরানের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।’
ইসরাইল জানিয়েছে, তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা ঠেকাতে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অঞ্চলে ইসরাইলের হামলা চালানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।