বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, নতুন কোনো ইসলামবিদ্বেষী শক্তিকে বাংলার মানুষ ক্ষমতার মসনদে দেখতে চায় না। হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা কমিশন চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত শিক্ষা কমিশন থেকে কায়সার মামুন ও সামিনা লুৎফাকে না সরালে আবারও শাপলা চত্বরে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহ জেলা শাখার উদ্যোগে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ-সময় মামুনুল হক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুসকে আমরা এখনো সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এ সরকারকে বুঝতে হবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সহযোগিতা ছাড়া এ দেশে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আমরা দেশের প্রশ্নে, মানবতার প্রশ্নে, ইসলামের প্রশ্নে কারো সঙ্গে আপোষ করতে প্রস্তুত না। যদি ইসলামবিরোধী এজেন্ডা হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় সেটাকেও আমরা প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
কিন্তু ড. ইউনুসের লক্ষণ খুব ভালো দেখছি না। শিক্ষা ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপুর্ণ ইস্যু। শিক্ষা ব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদ চাপানোর চেষ্টা বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজন হলে আমরা আবার শাপলা চত্বরে যাব। ইসলাম বিরোধী এজেন্ডা আমরা রুখে দিব। গঠিত শিক্ষা কমিশন প্রত্যাখ্যান করে কমিশনে আলেমদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চেয়েছিল বাংলাদেশকে অন্য আরেকটি দেশের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে। শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করার রাজনীতি। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ছিনতাই করে এ দেশে একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবীবুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, সহ-বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হেদায়াতুল্লাহ হাদী, মুহাম্মদ আবদুল মুমিন, ঢাকা দক্ষিণের সহ-সভাপতি মুহাম্মাদুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ওয়াসেক বিল্লাহ নোমান প্রমুখ।
এদিন গণসমাবেশে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।