ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ বলেছেন, সিনেট, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের উওর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু পরচালিত হয়। এসবের কোথাও শিবির নিষিদ্ধের বিষয় উল্লেখ নেই।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ পরিষদ কি বললো না বললো সেটা দেখার বিষয় না। ছাত্রশিবির যেখানে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করে সেখানে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের কোন প্রশ্নই আসার কথা না।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফরহাদ বলেন, ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। সবকিছু প্রশাসন ঠিক করবে। তারপর ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তিত রূপ চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের পরে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে তারা ফ্যাসিবাদ কায়েমের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়কে বাঁধা মনে করেছে। তার মধ্যে প্রথম হলো সেনাবাহিনী। তাই তারা বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এরপর তারা শিবিরকে তাদের সামনে সবচেয়ে বড় বাঁধা মনে করে আমাদের উপর আক্রমণ করেছে। শিবিরের এমন কোন লেয়ার নেই যেখানে হামলা হয়নি। শিবির সভাপতিকে কারণ ছাড়া টানা ৫৬ দিন রিমান্ডে নিয়েছে। এমনকি নামাজের সময়ও ছাত্রলীগ হামলা করেছে।
শিক্ষার্থীরা শিবিরকে কিভাবে গ্রহণ করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বলে রাখা ভালো, ফ্যাসিবাদ দুইটি বিষয় কায়েম করেছে, প্রথমত, শিবিরের সকল অফিস বন্ধ করে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। দ্বিতীয়ত, শিবিরের প্রতি ভীতি তৈরি করেছে। আমাদের আত্মপ্রকাশের পর এই ভিত্তি ভেঙে গেছে। প্রায় সকল শিক্ষার্থী আমাদেরকে পজেটিভলি গ্রহণ করেছে। যারা আমাদের দীর্ঘ ৫ বছর ধরে দেখেছে, আমাদের আচরণ, ব্যক্তিত্ব দেখেছে তারা অনলাইনে ফিডব্যাক দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিররের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়ে ফরহাদ বলেন, আমরা সভাপতি ও সেক্রেটারি আত্মপ্রকাশ করেছি এবং খুব শীঘ্রই আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করব। আমাদের কিছু সময় প্রয়োজন।