রাজধানীর উত্তরা নিয়ে বিএনপির যেন অস্থিরতার শেষ নেই। একের পর এক বহিষ্কার, বিভিন্ন রকমের সাজা, কমিটি বিলুপ্ত তারপরও উত্তরার বিএনপিতে নেই স্বস্তি। এরই মধ্যে বিএনপির জন্য মরার উপর খাঁড়া ঘা কফিল বাহিনী।
কফিল উদ্দিন আহমেদ এর সহচর এফ ইসলাম চঞ্চল ও জাহিদ মাস্টার বিভিন্ন ব্যবসায়িদের থেকে চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগে উঠে এসেছে।
সম্প্রতি উত্তরা জমজম টাওয়ারে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠে। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার বিদেশে থাকার কারণে জমজম টাওয়ার কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জমজম টাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, আমরা কোন প্রকার চাঁদা দেব না প্রয়োজন লাগলে আইনের আশ্রয় নেব, আমাদের চেয়ারম্যান দেশে ফেরা মাত্রই আমরা সঠিক ব্যবস্থা নেব বলে আশা করি।
কফিল উদ্দিনের সহচর জাহিদ মাস্টার ও চঞ্চল পুরো ঢাকা ১৮ আসনের হঠাৎ করে হত্যার কর্তা হয়ে গেছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। দক্ষিণ খান পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার সালাম খান অভিযোগ করে বলেন, জাহিদ মাস্টার আর চঞ্চল এলাকার যেকোনো বিচার এই অবস্থান করে বিচারে যে পক্ষ বেশি টাকা দেবে সেই পক্ষই সফল হয়ে যাবে। উত্তর খানের ইয়াসিন মোল্লা বলেন, আমার ভাইয়ের ভোটার আইডি কার্ড ঠিক করে দেবে বলে ১০০০০ টাকা নিয়েছে এখন ভোটার আইডি পাইনা, টাকাও পাই না, চাইলে উল্টা ধমক ও গাল মন্দ খেতে হয়।
উত্তরা ৪ নাম্বার সেক্টর এর শাহাবুদ্দিন রাজ্জাক বলেন, জমি জামার কাগজপত্র নয় ছয় করা বিভিন্ন জায়গা দখল করা ও চাঁদাবাজি করা তাদের মূল ব্যবসা। আওয়ামী লীগ তান্ডব থেকে উত্তরা স্বাধীন হয়েছে কিন্তু নতুন বিপদ কাঁদেও নিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকার পালানোর পর কফিল উদ্দিন এর সহযোগিতায় মেয়র আতিক তার বাসায় আশ্রয় নেয়। পালানোর সময় কফিলউদ্দিনের গাড়ি ব্যবহার করে আতিক। সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর উপ সংসদ উপনির্বাচনে কফিল বাহিনীর তাণ্ডব উত্তরাবাসি দেখেছে।
পরবর্তীতে বিষয়টি কেন্দ্রীয় দপ্তর হয়ে লন্ডনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পর্যন্ত পৌঁছায়। তাই দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় দপ্তর কফিল বাহিনীর বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়।