প্রতারণা আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা মামলা করে এক গ্রামবাসীকে ১২ বছর হয়রানী করার পর এবার নিজের জালে নিজেই ফেঁসো গেলো বাদী। জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কল্পিত নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে সে। একযুগ পর মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় প্রতারক বাদীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জানা যায়, মিথ্যা ওই মামলায় ১৩ মাস জেলও খাটে বিবাদী। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল জনৈক হারুন বাদশার বিরুদ্ধে কাউখালী থানায় নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমেনা খাতুন নামে একই এলাকার এক নারী।
মোঃ হারুন বিনা বিচারে ১৩মাস জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়। দীর্ঘ ১২ বছর মামলা চালানোর পর আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ভুক্তভোগী মো. হারুন বাদশাকে আমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার আদেশ দেয় আদালত।
আদেশে বলা হয়- আসামীদের ক্ষতি সাধনের অভিপ্রায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ করার ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা করায় এজাহারকারী আমেনা খাতুন এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১৭ ধারা মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামীদ্বয়কে অনুমতি দেওয়া হলো। আদেশ পাওয়ার পর মামলা দায়ের করেন হারুন বাদশা।
অবশেষে গত মঙ্গলবার পহেলা অক্টোবর আমেনা খাতুনকে আটক করে কাউখালী থানা পুলিশ। আটকের পর বুধবার আমেনাকে রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।