কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ রবিবার সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
এতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ৫ আগস্ট পরবর্তী চলমান সাম্প্রদায়িক-জাতিগত সহিংসতার তদন্ত, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চির অবসান, সংখ্যালঘুদের ৮ দফা দাবির বাস্তবায়ন এবং মানবাধিকার নেতা এ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
আজ রবিবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে শারদীয় দুর্গাপূজোকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে অব্যাহতভাবে প্রতিমা ভাংচুর, নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উষ্কানী এবং বিশেষ মহল কর্তৃক সার্বজনীন দুর্গাপুজোর তীব্র বিরোধীতায় কথিত ১৬ দফা দাবি এবং ভারত বিরোধীতার নামে হিন্দু বিরোধীতাকে রাজনীতির উপজীব্য করে তোলার ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে ৫ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের দিঘীনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিককালে সংঘটিত জাতিগত সহিংসতার চালচিত্র তুলে ধরা হয় এবং সাম্প্রদায়িক-জাতিগত সহিংসতায় নিহত পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ, ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় পুনঃসংস্কার বা পুনর্নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুণর্বাসন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারী, উষ্কানীদাতা ও সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার, দেশব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজো শাস্ত্রীয় পরিবেশে অনুষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ কামনা করা হয়।
স্মারকলিপিতে মানবাধিকার নেতা এ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে ঢাকার দু’টি থানায় রুজুকৃত হত্যা মামলাকে ‘মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানীমূলক’ উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে তা সহ সারা দেশে সংখ্যালঘু নেতৃবৃেেন্দর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের নিমিত্তে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে আহ্বান জানানো হয়।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, সাতক্ষীরা, যশোর, মানিকগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, নেত্রকোনা, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চাঁদপুর, খুলনা, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, দিনাজপুরসহ দেশের নানান জেলায় স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী পালিত হয়েছে।