জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মোট ১০৫ জন শিশু মারা গেছে। তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
আজ রবিবার সচিবালয়ে অধীন দুই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে ১০৫ জন শিশু মারা গেছে। এটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ চূড়ান্ত করেছে আমরা সেখান থেকে তথ্য নিয়ে এসেছি। বিশ্ব শিশু দিবসে সোমবার (৭ অক্টোবর) আমরা নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে এবং মানপত্র দেব। শিশু হিসেবে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়স ধরে এ তালিকা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুদান হস্তান্তরের এ অনুষ্ঠানটি হবে। সমাজসেবা কার্যালয় ও উপজেলা রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের মোট ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৮ টাকার সেবা দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-শ্রমিক-জনতা পুনর্বাসন ও চিকিৎসার জন্য বিশ্ব ব্যাংক থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা পাচ্ছি। এটির ফরমালিটি শেষ পর্যায়ে আমরা আছি।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১২টি ডে কেয়ার রয়েছে জানিয়ে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান একটি কর্নার আমরা দাবি করছি এই ডে কেয়ারের জন্য। এজন্য আমরা সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে একটা চিঠি দেব।
২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডে কেয়ার খোলার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আমরা বেসরকারি ক্ষেত্রে ডে কেয়ারটা আনতে যাচ্ছি, যাতে রোজগার এবং সেবা দুটোই যাতে আমরা দিতে পারি। আমাদের লক্ষ্য মাথায় রেখে আমরা ধীরে ধীরে সেদিকেই এগোচ্ছি।