সড়ক পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বিআরটিএ’র ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিকী, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক হাসিনা বেগম, ফেরদৌস খান এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বুধবার (৯ অক্টোবর) যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বিআরটিএ’র অব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত ত্রুটির কারণে দেশের সড়ক পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।
গড়ে উঠছে না নিরাপদ ও জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা। স্বার্থবাদী গোষ্ঠী রাজনীতিকীকরণের মাধ্যমে গোটা পরিবহন খাত চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির নৈরাজ্যে পরিণত করেছে। রাজধানীর গণপরিহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য কোম্পানীভিত্তিক বাস পরিচালনার উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করেছে এই গোষ্ঠী। অথচ বিআরটিএ প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে এদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান এবং অপেশাদারী ব্যবস্থাপনার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অগণিত মানুষ আহত-নিহত হচ্ছে। কিন্তু সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ’র জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাবে দায়ীদের শাস্তি হচ্ছে না। সড়ক পরিবহন আইন ছয় বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। শুধু কমিটি গঠন এবং সুপারিশ তৈরির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতারা বলেন, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির কাজের কোনো সফলতা নেই। প্রতিষ্ঠানটির নামই মানুষ জানে না। এর কাজ কি বুঝা যায় না। বিআরটিসি প্রত্যাশিত পরিবহন সেবা প্রদানে চরমভাবে ব্যর্থ। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে নেতারা বলেন, সড়ক পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে বিআরটিএ’র জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংস্থাটির প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার অতীব জরুরি।
একইসঙ্গে ডিটিসিএ এবং বিআরটিসিকেও সংস্কার করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করে টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন করলে দেশে নিরাপদ-জনবান্ধব সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।