জানা যায়, আজ (১০ অক্টোবর) র্যাব-১১ এর একটি চৌকস দল হাবিবুর রহমান হাবুর গলা কেটে হত্যার ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে ও আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর এবং নরসিংদী ক্যাম্প এর যৌথ অভিযানে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চৌয়ালা এলাকার নাঈম মিয়া (৩০), ও নাদিম মিয়া (২৫), উভয় পিতা- মোঃ হাবিবুর রহমান হাবু। এই দুই জনকে দক্ষিণ তারাবো, রূপগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, গত এক অক্টোবর দুপুরে নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের গেটের সামনে পূর্বশত্রুতার জেরে হানিফ মিয়া (৩২), কে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার করে। এই ঘটনায় চার অক্টোবর নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার এফআইআর নং-২, ধারা- ৩০২/১১৪/ ৩৪। নিহত হানিফ মিয়া (৩২), একই এলাকার কালাম মিয়ার ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত দেড় মাস আগে নিহত হানিফ মিয়ার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ বাবু ও প্রতিবেশী সাজ্জাদ এর সহযোগীতায় তার মামা হাবিবুর রহমান হাবু মিয়াকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহত হানিফ ও আব্দুল্লাহ এবং সাজ্জাদের নামে নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ বাবু নরসিংদী মডেল থানায় নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন। নিহত হানিফ ও সাজ্জাদ আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে এক অক্টোবর আনুমানিক দুপুর ২ টা সময় আব্দুল কাদের এর ছেলে নিহত হানিফ মিয়া (৩২), নরসিংদী মডেল থানাধীন পৌর ঈদগাহ মাঠে জনৈক ফিরোজ মিয়ার জানাযার নামাজ পড়তে যায়।
এই সময় আপন দুই ভাই নাঈম এবং নাদিম ভিকটিম হানিফ মিয়াকে দেখতে পেয়ে নরসিংদী সদর থানাধীন সুরভী সিনেমা হলের সামনে কামারের দোকান থেকে বড় ছুরি ক্রয় করে হোসেন বাজারে উৎ পেতে থাকে। পরে কাউরিয়াপাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের মেইন গেটের সামনে হানিফ মিয়াকে দেখতে পেয়ে নাদিমের সহযোগীতায় নাঈম ভিকটিমকে প্রকাশ্যে দিবালোকে পেছন থেকে গলার ডান পাশে কোপ মারিলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে আসামিগন তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পুনরায় ভিকটিমের নাকের মাঝ বরাবর কুপিয়ে গভীর ক্ষত করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে নরসিংদীর দূর্গম চরে পালিয়ে যায় এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।
৩ অক্টোবর হতে আঁট অক্টোবর পর্যন্ত তারা নরসিংদীর রায়পুরা থানাধীন নিলক্ষা নাদিমের শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে থাকে। পরে নয় অক্টোবর র্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রূপগঞ্জের তারাবো এলাকায় হত্যাকারীদ্বয়ের অবস্থান সনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।