নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে, লাশের ওপর দাঁড়িয়ে তাণ্ডব চালিয়ে, এদেশের মানুষের রক্তের বন্যার মধ্য দিয়ে নীল নকশা সাজিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিল স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার সরকার। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যারা লগি-বৈঠা নিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশদাতা এবং যারা খুনী প্রত্যেকের বিচার অতিদ্রুত কার্যকর করতে হবে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, এই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার চিটাগাং রোডে শহীদ আব্দুল্লাহ আল ফয়সালকে কীভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে খুন করা হয়েছিল, আপনারা তার জ্বলন্ত সাক্ষী। দীর্ঘ ১৬ বছর এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জনগণের ওপরে বসে থেকে দেশকে নরকে পরিণত করেছে। আর কোন খুনি যেন কোনো মায়ের বুক খালি করার দুঃসাহস দেখাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করা হয়েছিল, শত শত মিডিয়ায় তা সরাসরি লাইভ প্রচার হয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে যদি কোনো প্রোগ্রামের অনুমতি চাইতাম তখন প্রশাসন আমাদের বলত যে, উপরের নির্দেশ অনুমতি দেওয়া যাবে না। তখন আল্লাহ তায়ালার দরবারের ফরিয়াদ করে বলতাম, হে আল্লাহ এই উপরের চাইতেও তো উপর আছে! আজকে ৫ আগস্ট নতুন করে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে এ বিশ্বাস আরো মজবুত হয়েছে যে, এই দুনিয়ার শক্তি কোনো শক্তি নয় বরং আল্লাহ তায়ালার শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি।
সিদ্ধিরগঞ্জ ১ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন। সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ থানার আমীর কফিল আহমাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানা আমীর মাহাবুব আলম, থানা সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, উত্তর থানা সেক্রেটারি সাইদুল হক, দক্ষিণ থানা সেক্রেটারি আবদুল গফুর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা ইকবাল হোসাইন, মোহাম্মদ আলী, ডা. সাঈদ হোসেন, অধ্যাপক আবুল বাশার, মনির হোসেন হেলালী, আ. রহিমসহ অন্যান্য জামায়াত নেতৃবৃন্দ।