হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডবের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। সঞ্জু স্যামসনের ঝোড়ো সেঞ্চুরি আর সূর্যকুমার যাদব-হার্দিক পান্ডিয়াদের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ পেয়ে গেছে ভারত।
বাংলাদেশি বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান তুলেছে তারা। সিরিজে ধবলধোলাই এড়াতে বাংলাদেশের চাই ২৯৮ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে ওপেনার অভিষেক শর্মাকে হারায় ভারত। ৪ বলে ৪ রান করে তানজিম সাকিবের শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি। এর আগেই অবশ্য তাসকিন আহমেদের এক ওভারে ৪ বার বল সীমানাছাড়া করে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অন্য ওপেনার সঞ্জু স্যামসন।
ওপেনিংসঙ্গী অভিষেককে হারিয়ে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গী করেন এই ওপেনার। তারা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭০ বলে দলের স্কোরে যোগ করেন ১৭৩ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা দ্বিতীয় উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটির কীর্তি।
ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্যামসন ২২ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ৪০ বলে পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। এই মাইলফলকের পথে স্পিনার রিশাদ হোসেনের এক ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা হাঁকান এই মারকুটে ব্যাটার। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরার আগে ৪৭ বলে ১১ চার এবং ৮ ছক্কায় ১১১ রান করেন স্যামসন।
অন্যদিকে বিদায়ী টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহর বলে উইকেট খোয়ানোর আগে ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার। ৬ বলের ব্যবধানে স্যামসন এবং সূর্যকুমার আউট হলেও তাতে ভারতের রানের গতি হেরফের হয়নি।
তারা যেখানে শেষ করেছেন, ক্রিজে এসে সেখান থেকেই শুরু করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও রিয়ান পরাগ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটার যোগ করেন ২৬ বলে ৭০ রান। ৪ ছক্কা ও এক চারে ১৩ বলে ৩৪ রানের বিস্ফোরক ক্যামিও খেলেন পরাগ। আর ১৮ বলে চারটি করে চার-ছক্কায় ৪৭ রান আসে হার্দিকের ব্যাটে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে সর্বোচ্চ ৬৬ রান খরচ করা তানজিম সাকিবের ঝুলিতে গেছে ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, মোস্তাফিজ ও মাহমুদউল্লাহ।