গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার অন্যান্য অঞ্চলেও হামলার কারণে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, জাবালিয়া শিবিরের আল-ফালুজা এলাকায় ইসরায়েলি হামলার পর ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে সাতজন একই পরিবারের সদস্য।
একইদিন ইসরায়েলি বাহিনী বেরকাত আবু রাশিদ এলাকায়ও হামলা চালায়। সেখানে অন্তত তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। আল-জাজিরার সংবাদদাতা আনাস আল-শারিফ ঘটনাস্থল থেকে জানান, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে আহত শিশুদের বের করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী আল-ফালুজা এলাকায় বাড়ি ও ভবন ধ্বংস করতে বিস্ফোরকভর্তি ব্যারেল মাটিতে ফেলছে।
গত এক বছরে ইসরায়েলি বাহিনী বারবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে গাজার উত্তরে প্রায় চার লাখ ফিলিস্তিনি বাস করছে। তাদের ওই এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার সঙ্গে উপত্যকার অন্যান্য অংশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে।
গাজা শহরের পশ্চিমে আল-সিনায়ার রাস্তায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। সেখান থেকে অন্তত দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, গাজার মধ্যাঞ্চলীয় নুসাইরাত শিবিরে আল-সালহি পরিবারের বাড়িতে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে পূর্ব বানি সুহেইলায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৪২ হাজার ২৮৯ জন নিহত এবং ৯৮ হাজার ৬৮৪ জন আহত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা।