শেরে বাংলাদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা আজ রবিবার স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গত বুধবার থেকে টানা ৩দিন ‘হোম অব ক্রিকেটের’ বাইরের জায়গাটা মোটেও স্থিতিশীল ছিল না। পুরো এলাকা ছিল উত্তপ্ত। সাকিব আল হাসানের বিরোধী ও ভক্তদের অবস্থান, স্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুন ও দেয়াল লিখনে ছিলো সয়লাব। দুই গ্রুপের ছিল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীও।
সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরু হবে ঢাকা টেস্ট। স্বস্তির বিষয় হলো- একদিন আগে হলেও সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে স্টেডিয়াম এলাকায়। এর আগে হট্টগোলের মধ্যেই অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।
বিরোধীরা বলেছে, সাকিবকে খেলতে দিলে মিরপুর ব্লকেড করে দেওয়া হবে। বিসিবি সভাপতির কাছে স্মারক লিপিও দিয়েছে তারা। অন্যদিকে ভক্তদের দাবি, দেশের মাটিতেই সাকিবকে টেস্ট থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া ৪ দফা দাবি জানায় সমর্থকরা।
এসব ঝামেলার মধ্যে নতুন কোচ নিয়োগ বিসিবির। তার আগে ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে সিরিজ হার। সব কিছু মিলিয়ে ঢাকা টেস্টে নামার আগে দেশের ক্রিকেটীয় পরিবেশ প্রেক্ষাপট কিছুটা হলেও প্রতিকূল বাংলাদেশের জন্য। এমন অবস্থায় খেলার প্রতি মনোযোগ ধরে রাখা এবং ভালো খেলার একাগ্রতা ধরে রাখাও বেশ কঠিন।
রবিবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে এসব বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন অধিনায়ক।
শুরুতেই উঠে আসে সাকিব-ইস্যু। এছাড়া ক্রিকেটারদের জন্য বর্তমান পারিপাশ্বিক অবস্থা কতটা কঠিন, আগামীকাল স্বাভাবিক মানসিকতা নিয়ে খেলতে পারবেন কিনা ক্রিকেটাররা, এসব নিয়েও ছিল প্রশ্ন।
শান্ত অকপটে স্বীকার করেন যে, পরিস্থিতি আসলেই কঠিন। তবে এসব নিয়ে বেশি সময় নষ্ট করতে চান না তিনি। বরং ম্যাচের দিকেই বেশি মনোযোগী হতে চান টাইগার অধিনায়ক।
শান্ত বলেন, ‘এটা আমাদের কন্ট্রোলে নেই। যেহেতু কন্ট্রোলে নেই, এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করা মানে সময় নষ্ট। যত বেশি সম্ভব খেলায় ফোকাস করা, খুব ইম্পরট্যান্ট দুটি টেস্ট। খেলোয়াড়রা খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এটাতেই মনোযোগ রাখার চেষ্টা করছে।’
সাকিবকে নিয়ে টেস্ট ম্যাচটি খেলতে চেয়েছিলেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি-অলরাউন্ডাকে না পাওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন তিনি।
শান্ত বলেন, ‘পরিকল্পনা তো ছিলই, বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। শুধু বাংলাদেশই বলবো না, গোটা বিশ্বের। খুবই দুর্ভাগ্যজনক, যেকোনো কারণেই হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, প্রত্যেক খেলোয়াড় মনে করে, পেন্ডিং থেকেই গেল। দুর্ভাগ্যজনক। হওয়া উচিৎ ছিল। আমরা সবাই জানি কেন হয়নি। এটা নিয়ে টেস্ট ম্যাচের আগের দিন বেশি কথা বলতে চাই না। আমি চাই প্রত্যেক খেলোয়াড় খেলায় মনোযোগ রাখুক।’