জীবনধারণে স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রম হলে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আসলে প্রতিদিনের নানা অভ্যাস আমাদের যেমন সুস্থ থাকতে সাহায্য করে, তেমনই ভুল কিছু অভ্যাস হতে পারে অসুস্থতার কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু অভ্যাস স্লো পয়জনের মতো। এসব অভ্যাস আমাদের শরীর ও মন উভয়ের ওপরই কুপ্রভাব ফেলতে পারে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস সম্পর্কেঃ
স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারঃ
স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারও ধীরে ধীরে আপনার স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে। এটি মানসিক চাপ বাড়ায় ও সামাজিক সম্পর্ক দুর্বল করে।
সিগারেট ও অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস
কম পানি পান করাঃ
পানির অপর নাম জীবন। তবে অনেকেই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। যা শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কম পানি পান করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, যার খারাপ প্রভাব পড়ে ত্বক ও শরীরে।
অত্যধিক মিষ্টি খাবার খাওয়াঃ
মিষ্টি খাবারের প্রতি কমবেশি সবারই লোভ কাজ করে। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই কম পরিমাণে চিনি খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়াঃ
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলেও শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে শরীরে অপ্রয়োজনীয় চর্বি জমতে শুরু করে, যা হৃদরোগের (ঝুঁকি বাড়ায়।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকাঃ
বর্তমানে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ অফিসে কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন। ডেস্ক ওয়ার্ক কালচার বাড়ার কারণে মানুষের বসার সময় অনেক বেড়ে গেছে। এমন অবস্থায় একটানা বসে থাকলে শরীরের গতিশীলতা কমে যায় ও স্থূলতা বাড়ে।
সকালে নাশতা না করাঃ
সকালের নাশতা হলো দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। যা সারাদিনের জন্য শক্তি জোগায়। এমন পরিস্থিতিতে, এটি বাদ দিলে শরীরে শক্তির অভাব হয়। ফলে অনেকেই ক্লান্তবোধ করেন সারাদিন।
নেশা দ্রব্য সেবনঃ
সিগারেট ও অ্যালকোহল জাতীয় নেশাদ্রব্য সেবন ফুসফুস ও লিভারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এসবের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে।
শরীরচর্চার অভাবঃ
প্রতিদিনের রুটিনে কোনো ধরনের ব্যায়াম না করা শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করে। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে হালকা শরীরচর্চা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়াঃ
বর্তমানের ব্যস্ত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ক্লান্তি ও মানসিক অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই পর্যপ্ত ঘুম কোনোভাবেই অবহেলা করবেন না।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই।