চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক করা হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। তবে এই সময়ে তার নেতৃত্বে সাফল্যর চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লায় বেশি। তার চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার কারণ, অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই অধারাবাহিক শান্ত। যা নিয়ে প্রায়শই প্রশ্নের মুখে পড়ছে তার নেতৃত্ব। সমালোচিত হতে হচ্ছে বিসিবিকেও। এই অবস্থায় গুঞ্জন উঠেছে নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চান শান্ত।
অধিনায়কত্বের চাপ শান্তর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে। যে কারণে চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ শেষেই নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চান এই ব্যাটার। এমনটাই এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিবি শান্তকে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ঠিক করলেও সেই দায়িত্ব আর সামলাতে চান না তিনি। নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই বোর্ডকে জানিয়েছেন শান্ত। তবে বোর্ডপ্রধান ফারুক আহমেদ বর্তমানে বিদেশে থাকায় সেই সিদ্ধান্ত এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়।
এ ব্যাপারে বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, তিনি (শান্ত) আমাদের জানিয়েছেন যে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরে দলের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত নন।’
নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয় নিয়ে শান্ত বলেন, ‘দেখা যাক কি হয়। কারণ আমি এখনও সভাপতির (বিসিবি) কাছ থেকে এ বিষয়ে শোনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
অবশ্য বিসিবির একজন শীর্ষ পরিচালক শান্তকে তার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে বিষয়টি সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। কেননা, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর, টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত। যদিও পরে মত পাল্টে অধিনায়ক থাকতে রাজি হন তিনি। তবে এখন আবার তিন ফরম্যাট থেকেই সরে যেতে চাচ্ছেন শান্ত।
এ ব্যাপারে বিসিবির আরেক কর্মকর্তা বলেন, যদি শেষ পর্যন্ত শান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের পর দলের নেতৃত্ব দিতে রাজি না হন, তাহলে বোর্ড টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজের কথা ভাবছে। আর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে তাওহিদ হৃদয়কে।
উল্লেখ্য, শান্ত এখন পর্যন্ত ৯টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেখানে ৩ টি জয় ও ৬ টি পরাজয় রয়েছে। শান্তর নেতৃত্বে এই সময়ে ৯ ওয়ানডেতে ৬ টিতে হেরেছে এবং ৩ টি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে, ২৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে শান্তর জয়ের সংখ্যা ১০টি।