ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের হেড কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন গ্যারি কারস্টেন। গত এপ্রিলে দুই বছরের চুক্তিতে তাকে নিয়োগ দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু তা ছয় মাসও টিকল না।
সম্প্রতি পিসিবির সঙ্গে কারস্টেন ও লাল বলের কোচ জেসন গিলেস্পির বিরোধ সৃষ্টি হয়। কেননা নির্বাচক প্যানেল থেকে তাদের সরিয়ে দিয়েছে বোর্ড। এমন কাণ্ডে বেশ অবাকই হয়েছেন তারা। এনিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে গিলেস্পি জানান, এখন থেকে তিনি কেবল ম্যাচ ডে-বিশ্লেষক এবং এমনটা যে তার সঙ্গে ঘটবে, সেটা তিনি চুক্তি সই করার সময় আশা করেননি।
কারস্টেন অবশ্য প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি এ ব্যাপারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি হতাশ। ক্রিকইনফো জানায়, বোর্ডের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণেই সীমিত ওভারের অধিনায়ক ও স্কোয়াড ঘোষণা করতে বিলম্ব হচ্ছিল। যেখানে কারস্টেন তার মতামতকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলেন। দিনশেষে রিজওয়ানকে যখন অধিনায়ক করা হয়, তখন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির পাশে ছিলেন কেবল নির্বাচক কমিটির সদস্য আকিব জাভেদ ও সহ-অধিনায়ক আগা সালমান। কারস্টেন তখন দেশে পর্যন্তও ছিলেন না।
সেরা কোচের সন্ধানে প্রায় তিন মাস ধরে খোঁজাখুঁজির পর কারস্টেনকে সাদা বলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় পিসিবি। তার অধীনে ২০১১ সালে ২৮ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় করে ভারত। যদিও ওয়ানডে ফরম্যাটে পাকিস্তানকে কোচিং করানোর সুযোগ হয়নি সাবেক এই প্রোটিয়া ক্রিকেটারের। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু হয় তার কোচিং-অধ্যায়। যা হয়তো ভুলেই যেতে চাইবেন তিনি। কেননা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরে আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় পাকিস্তান।
এমন ব্যর্থতার পরও আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে তার ওপর আস্থা রেখেছিল পিসিবি। কিন্তু বোর্ডের কর্মকাণ্ডে শেষ পর্যন্ত কারস্টেন নিজেই পদত্যাগ করলেন। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ে সফরে কারস্টেনের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়।