যমুনা নদী বেষ্টিত সিরাজগঞ্জ জেলা প্রায়ই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা, নদীভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়। এসব দুর্যোগের কারনে এলাকার মানুষগুলো প্রায় প্রতি বছরই জীবিন জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে।
বন্যাপ্রবণ এলাকায় মানুষের দুর্যোগ সহনশীল জীবিকায়ন উন্নয়ন ও কমিউনিটির সহনশীলতা জোরদার করণের লক্ষ্যে দাতা সংস্থা কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কৈইকা) এর আর্থায়নে এবং অক্সফাম এর সহযোগীতায় এনহ্যান্সিং ডিজাষ্টারস রেজিলিয়েন্স ক্যাপাসিটি অফ দ্যা মুনসুন ফ্লাড এফেক্টেড পপুলেশন অফ সিরাজগঞ্জ ডিসট্রিক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পটি বাস্তাবয়ন করছে।
প্রকল্পটি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ০৩টি ইউনিয়ন-রাজাপুর, বেলকুচি সদর ও বড়ধূল ইউনিয়নে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের উদ্দেশ্যে মানব মুক্তি সংস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ১ম অর্থ-বছরে দুর্যোাগ সহনশীল জীবিকায়ন উন্নয়নের জন্য মোট ৪০০ জন উপকারভোগীর মধ্যে জন প্রতি নগদ ১৫০০০/- টাকা হিসেবে মোট-৬০,০০,০০০/- (ষাট লক্ষ) টাকা বিতরনের অংশ হিসেবে প্রথমধাপে ২৯৯ জনের মাঝে টাকা বিতরন করা হয়।
বুধবার (৩০ অক্টেবর) সকালে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে, উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ এ মোট ২৯৯ জনের মোবাইল ব্যাংক একাউন্টে মোট-২৯,৯০,০০০/- (উনত্রিশ লক্ষ নব্বই হাজার) টাকার অনুদান ট্রান্সফার করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে মানব মুক্তি সংস্থার প্রতিনিধি সহ, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রকল্পের অংশগ্রহনরীরদের অংশবিশেষ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, মানব মুক্তি সংস্থা সিরাজগঞ্জ জেলায় দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। তারা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সঠিক উপকারভোগী নিকট তাদের অনুদান হস্থান্তর করে আসছে, তার ধারাবাহিকতায় আজকের এই বিতরন অনুষ্ঠানের জন্য সবাইকে ধনবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুদান গ্রহনকারীগণকে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দুর্যোগ সহনশীল আয় বৃদ্ধি মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন, যাতে করে ভবিষ্যতে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধি পায় পাশাপশি উক্ত কার্যক্রমে যে কোন ধরনের সহযোগীতা প্রয়োজন হলে, উপজেলা প্রশাসন সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
সবশেষে বেলকুচি উপলোর দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় দুর্যোগ ঝুকিঁ হ্রাস প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দাতা সংস্থা কৈইকা, অক্সফাম ও মানব মুক্তি সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।