দেশের সকল ফেডারেশনের অভিভাবক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় টিকিট বিক্রির ১৫ শতাংশ ও প্রচার স্বত্ব বিক্রির ওপর ১০ শতাংশ অর্থ পেয়ে থাকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তবে ২০২২-২৩ অর্থ বছর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে এই সংক্রান্ত কোনো অর্থ পায়নি ক্রীড়া পরিষদ। এই অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় অডিট আপত্তি হয়েছে।
যার ফলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী কমিটি বিসিবির পাওনা আদায়ে নির্দেশনা রয়েছে। এরপরই বোর্ডের কাছে গেট মানি ও প্রচার স্বত্বের পাওনা চেয়ে চিঠি প্রদান করেছে ক্রীড়া পরিষদ। ২৭ অক্টোবর প্রেরিত চিঠিতে বিসিবিকে জরুরি ভিত্তিতে এই বিষয়টি নিষ্পত্তির অনুরোধ জানিয়েছে।
সবশেষ ২০২৩ সালের জুনে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকা এনএসসিকে দিয়েছিল বিসিবি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ভাষ্য, টিকিট বিক্রি ও প্রচার স্বত্ব বিক্রির প্রকৃত অঙ্ক না জানায় সঠিক প্রাপ্য হিসাব কষতে পারে না। মিডিয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রাপ্য দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।
অধিকার থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ওপর বিগত সময়ে প্রকৃত অর্থে তদারকি করতে পারেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কারণ, ক্রীড়ামন্ত্রী ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
গত জুন মাসে গেট মানি ও প্রচার স্বত্ত্ব নিয়ে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। জুলাই মাসে ফিরতি চিঠিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিভিন্ন স্টেডিয়ামে প্রয়োজনীয় সংস্কার ব্যয় কয়েক কোটি টাকা দেখিয়ে সেখান থেকে এনএসসিকে পাওনা সমন্বয় করতে বলেছিল।
এ দিকে গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর বদলে গেছে দৃশ্যপট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপর নতজানু। এখন এনএসসি চিঠি প্রেরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফিরতি চিঠি দিচ্ছে বিসিবি। বিসিবির বর্তমান সভাপতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক। তাই বিসিবির পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বার্থ দেখাও তার দায়িত্ব।