ক্ষমতায় বসে যারা সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খেয়েছে, তাদের আর ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র আমির ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রেজাউল করীম বলেন, ৫ আগস্ট আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও যারা বাংলাদেশের সিংহাসনে বসে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খেয়েছে তাদেরকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। কারণ, মানুষ যখন তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছে তখন ক্ষমতাসীনদের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে। তারা সন্ত্রাসী। মানুষ এসব সন্ত্রাসীদের দেশের মাটিতে আর দেখতে চায় না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সামনে ক্ষমতায় যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল দাবি করে শায়েখে চরমোনাই বলেন, আমাদের ক্ষমতায় যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল। বিএনপি কিন্তু আমাদেরকে অফার কম করেনি। আওয়ামী লীগও আমাদেরকে অনেক লোভনীয় অফার দিয়েছে। কিন্তু আমরা কারো দ্বারা ব্যবহার হইনি।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলাম শ্রমিকের মর্যাদা দিয়েছে। শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা বলেছে। আমরাও শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, এখনো শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আওয়ামী লীগের আমলে শ্রমিকের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নূরুল বশর আজিজি, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সহ সভাপতি আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এস এম সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক কে. এম. বিল্লাল হোসেন, কেন্দ্রীয় হকার্স বিষয়ক সম্পাদক শ্রমিক নেতা ইমাম হোসেন ভূঁইয়া, বস্ত্র ও গার্মেন্টস বিষয়ক সম্পাদক শ্রমিক নেতা হারুনুর রশিদ, শ্রমিক নেতা মো. শহীদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. হায়দার আলীসহ অনেকে।