রাজনৈতিক দলের মতামতে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রচলন নেই। এটি প্রধান উপদেষ্টার এখতিয়ার। তবে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে বা হচ্ছে তাদেরকে নিয়ে যেন বিতর্ক না হয়। সেই বিষয়টি লক্ষ্য করা উচিত তাদের নিজেদের স্বার্থেই তা করতে হবে। তাই উপদেষ্টা নিয়োগে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক ভূমিকা পালন করার তাগিদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাবসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছরে দেশে যে পারিমাণ জঞ্জাল তৈরী করে গেছে তা সরানো সতেরো দিনে বা, সতেরো মাসেও সম্ভব না। এ জন্য সময় প্রয়োজন। জাতী হিসাবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না, আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে। অন্তর্বতী সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে, তাদের সে সময়টুকু দিতে হবে।
বর্তমান সরকারকে সফল করার দায়িত্ব সকলের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি। আমরা চাই না সরকার ব্যর্থ হয়ে এই আণ্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাক। যারা দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু তারা যেন আবার কোনো সুযোগ না পায়, প্রধান উদ্দেশ্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সেটি ব্যর্থ করার।
তিনি আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার যে কাজটা সফলভাবে করেছে, তা হলো তারা জাতিকে বিভক্ত করেছে। এ বিভক্তিটা দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। আমাদের মতামত ভিন্ন থাকতেই পারে, গণতান্ত্রিক দেশে এটা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঐক্যটা জরুরী। আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারতে হটাতে ৬৩টি রাজনৈতিক দল আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছি, ডান বাম মধ্যপন্থি সব একসাথে। সেদিক থেকে আমরা বলব অনেকটা কাজ হয়েছে। দেশে একটা চূড়ান্ত অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। এখন আমাদের যেটা দরকার তা হলো এ সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, একটা লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করবে, যেন সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। সংস্কারের নামে সব সেক্টরে হাতদেয়ার দরকার নেই। সেটা নির্বাচিত পার্লামেন্ট করবে। আওয়ামী লীগ যেসব লোকগুলোকে নিয়োগ দিয়েছিল তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ করা, বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ করা। তাহলেই নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
রাজনৈতিক দলগুলো প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রন করা ছেড়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি আরো বলেন, সারা দেশে আমাদের পরিস্কার নির্দেশ দেয়া আছে, আমাদের কখনোই কোন নিয়ন্ত্রন করা বা প্রসাশনের কারো ওপর কোন চাপ প্রয়োগ করার মধ্যে আমরা নেই। এমন কথা যদি কোন অফিসার বলে থাকে তাহলে এটা তার অন্যায়।
এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপর সহসভাপতি আল মামুন আলম, সাধারন সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক ও পৌর সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, সেক্রেটারী তারিক আদনান, সদর থানা সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিসসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।