ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড সম্পতি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে। যাতে আলেক্সান্ডার তুরবানভ (২৮) নামে গাজায় বন্দি থাকা একজন ইসরাইলি তার দেশের সরকার ও জনগণের উদ্দেশ্যে তাকে মুক্ত করতে আকুতি জানিয়েছেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রকাশিত ভিডিওটির শিরোনাম ‘বার্তা-০১’ এবং এতে তুরবানভ বলেন, ‘ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা আমাকে বহুবার রক্ষা করেছে। কিন্তু ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর অভিযান আমার জীবনকে প্রতিনিয়ত বিপন্ন করে তুলেছে।’
সেই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, ইসরাইলি সামরিক অভিযানগুলো বন্দিদের মুক্ত করার নামে চালানো হলেও, তাদের পদক্ষেপগুলো আসলে তার ও অন্যদের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছে।
খাবার, পানি ও স্বাস্থ্যসেবা সংকটে শারীরিক সমস্যাঃ
নিজের শারীরিক সমস্যার বর্ণনা দিয়ে তুরবানভ বলেন, ‘খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে আমার চামড়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা আগে কখনও ছিল না’।
এ সময় তিনি ইসরাইলি জনগণকে আহ্বান জানান যে, তারা যেন এই বন্দিদের কথা স্মরণে রাখে এবং অন্তত এটুকু বোঝে যে, তারা ন্যূনতম খাবার ও পানীয় থেকে বঞ্চিত।
ইসরাইলি জনগণের প্রতি তুরবানভের আবেদনঃ
২৮ বছর বয়সি তুরবানভ বলেন, ‘ইসরাইলি জনগণের প্রতি আমি বলতে চাই যে, আমার জীবন প্রতিনিয়তই ঝুঁকির মুখে রয়েছে। আর এই সবই ইসরাইলি সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে’।
তিনি এ সময় ইসরাইইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সামরিক নীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের মুক্তির জন্য পরিচালিত সামরিক অভিযানগুলো আমাদের জন্য আরও বেশি ঝুঁকি সৃষ্টি করছে’।
তুরবানভ ইসরাইলিদের প্রতি তাদের প্রতিবাদ বাড়াতে, রাস্তা অবরোধ করতে এবং ব্যাপক ধর্মঘট শুরু করতে আহ্বান জানান। যাতে নেতানিয়াহুর সরকারকে বন্দিদের মুক্তির জন্য আরও চাপে রাখা যায়।
সেই সঙ্গে তিনি তার পরিবার, বন্ধু এবং মুক্ত জীবনের প্রতি গভীর আকাঙ্ক্ষার কথা জানান এবং বাড়ি ফিরে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তুরবানভ জোর দিয়ে বলেন, কেবল ইসরাইলি সরকারের ওপর জনগণের অব্যাহত ও শক্তিশালী চাপই তাকে নিরাপদে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।
সূত্র: আল-মায়াদিন।