ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে প্রথমে এগিয়ে গিয়ে আশা জাগালেও, ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না ব্রাজিল। তারপরও তাদের সামনে সুযোগ আসে কিন্তু স্পট কিকে ব্যর্থ হয়ে হতাশ করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। প্রতিপক্ষের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ১-১ ড্র করেছে দরিভাল জুনিয়রের দল।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ব্রাজিল। তবে আক্রমণে গিয়ে বারবারই হতাশ করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও তার সতীর্থরা। নবম মিনিটে বক্সে বল নিয়ে ঢুকলেও ওয়ান অন ওয়ান পজিশনে শট নিতে ব্যর্থ হন ভিনি। গোলরক্ষকের বাধার মুখে পাস দেন রাফিনিয়াকে। তিনি বল বারের উপর উড়িয়ে মারেন। ১৪তম মিনিটে বক্সে গেরসন দারুণ এক জোরালো শট নিলেও সেটা লক্ষ্যে থাকেনি।
২২তম মিনিটে ভাগ্য সহায় না হওয়ায় সহজ গোল মিস হয় ভিনিসিয়ুসের। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে পেনাল্টি এরিয়া থেকে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে উইঙ্গার। সে বল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও বারে লেগে ফিরে আসে। কয়েক সেকেন্ড পর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া গেরসনের জোরালো শট বাঁ দিকে ঝাপিয়ে ফিরিয়ে দেন ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষক রাফায়েল রোমো।
পাঁচ মিনিট পর ভুল পাস দিয়ে বিপদ প্রায় ডেকে এনে ছিলেন এডারসন। এগিয়ে এসে ওয়ান অন ওয়ান পজিশনে ভেনেজুয়েলার শট না ঠেকালে গোল প্রায় হজমই করে বসেছিল সেলেসাওরা। ৪০তম মিনিটে বক্সে দারুণ সুযোগ মিস করেন স্যাভিনিও। অনেক চেষ্টার পর ৪৩তম মিনিটে সফলতার মুখ দেখে ব্রাজিল। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে রাফিনিয়ার নেয়া বাঁকানো শট দুরূহ পোস্টে লেগে জালে জড়ায়। ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি রোমো।
তবে ব্রাজিলের সে আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বিরতির পর মাঠে নেমেই সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। বক্সে স্যাভারিনোর পাস পেয়ে এগিয়ে এসে বুলেট গতির শট নেন তেলাসকো সেগোভিয়া। শট ফেরাবেন কী, গতির কাছেই পরাস্ত হন এডারসন। তবে ব্রাজিলকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন ভিনি।
৫৯তম মিনিটে বল নিয়ে বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকার পথে ঝাপিয়ে পড়ে বাধা দেন ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষক। ভিআর চেকে ফাউল ধরে পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু স্পটকিক নিতে ব্যর্থ হন রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার। যদিও তিনি আরেকবার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ফিরতি বলও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন।
এদিকে শেষদিকে ম্যাচে ঘটে এক বিদঘুটে ঘটনা। যোগ করা পাঁচ মিনিটের তৃতীয় মিনিটের মাত্র শুরু। এমন সময় মাঠের পানির নলগুলো হঠাৎ ছেড়ে দেয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ঝাড়েন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। জোরালো প্রতিবাদ করে লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলের সহকারী কোচ। যদিও কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর পানির নলগুলো বন্ধ হলে রেফারি আবার খেলা চালিয়ে যান। তবে আরও তিন মিনিট খেলা হলেও সুবিধা করতে পারেনি সেলেসাওরা।
১১ ম্যাচে ৫ জয় ও ২ ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত কনমেবল অঞ্চলের তৃতীয় সেরা দল ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সাতে অবস্থান ভেনেজুয়েলার। ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা।