জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৮ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের প্রত্যেক পরিবারের কাছে এ আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের ঋণ আমরা কখনও শোধ করতে পারব না। গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আহত শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ফি মওকুফ করেছি। যদিও এটি তাদের ত্যাগের কাছে অত্যন্ত নগণ্য।
বক্তৃতাকালে সিনিয়র সচিব তিন কলেজের সংঘর্ষ নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাস্তায় অযৌক্তিক আন্দোলনকারীদের কতজন ছাত্র আর কতজন অছাত্র তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আমাদের শহীদদের যেন ভুলে না যাই, এজন্য কলেজে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতি কর্নার করা হবে।
তিনি বলেন, দুই হাজার তাজা প্রাণ এবং অসংখ্য আহত যোদ্ধাদের অঙ্গহানির বিনিময়ে আমাদের স্বৈরাচার শাসকের পতন ঘটেছে। আমাদের অভ্যুত্থানের গল্পগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের পাঠসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই, এজন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই-আগস্টের গণহত্যার গল্প পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
অনুষ্ঠানে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।