আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য এখন সুতোয় ঝুলে আছে। ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে না- এই যখন অবস্থা, তখন এই টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানে হবে নাকি অন্য কোনো দেশে হবে- তা নিয়েই আলোচনা শুরু হয়েছিলো। যদিও আইসিসি এখনও পর্যন্ত ভিন্ন কোনো দেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা বলেনি। আবার ভারত আসতে না চাওয়ায় সময়সূচিও তৈরি করেনি তারা।
তবে এবার বিষয়টার একটা সুরাহা হতে যাচ্ছে। আর তিনদিন পর, ২৯ আগস্ট আইসিসির প্রভাবশালী সদস্য দেশগুলোর একটি ভার্চুয়াল মিটিং রয়েছে। যেখানে আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
অর্থাৎ, সূচি নির্ধারণ করার অর্থ হলো- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণ করে ফেলা। কোন কোন ভেন্যুতে হবে খেলা, কে কোথায়, কার মুখোমুখি হবে সেগুলো নির্ধারণ করা- এসব বিষয় যখন ঠিক হয়ে যাবে, তখন পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে যাবে ভেন্যু শতভাগ পাকিস্তানে থাকছে নাকি, ভারতের সুবিধার্থে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।
এতবড় একটি টুর্নমেন্ট। যেটা এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে। সূচি নির্ধারণ হলে সম্প্রাচারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং তাদের সুবিধা দেখা- সবই ঠিক হয়ে যেতো এতদিনে; কিন্তু ভারত পাকিস্তান খেলতে যাবে না বলায়, এতটা বিলম্ব হলো। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর বন্ধ রয়েছে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) চাচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন হোক হাইব্রিড মডেলে। তাদের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হোক ভিন্ন কোনো দেশে। সম্ভব হলে আরব আমিরাতে। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট দল এতে মোটেও রাজি নয়। তারা হাইব্রিড মডেলেই যেতে রাজি হচ্ছে না।
আইসিসির এক মুখপাত্র পিটিআইকে বলেন, ‘২৯ নভেম্বর এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আইসিসি বোর্ড যুক্ত হবেন। যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি নিয়ে আলোচনা করা হবে’
এই মিটিংটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে, যখন আর দুইদিন পর (১ ডিসেম্বর) আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ।