দেশে গত এক বছরে এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯৫ জন। একই সময়ে ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার বেশির ভাগই সমকামী ও বিবাহিত বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য সূত্রে জানা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব এইডস দিবস’। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি বা এইডস যাবে চলে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত পাঁচ বছরে এইডস রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে নতুন এইচআইভি সংক্রমিত রোগীর ৪২ শতাংশ সমকামী। এর পরেই রয়েছেন বিদেশফেরত প্রবাসী শ্রমিকরা। এ ছাড়া যৌনকর্মী, মাদকসেবী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও আছেন। আক্রান্তদের ১০ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বলেও জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪০৬ জন, চট্টগ্রামে ৩২৬, খুলনায় ১৫৪, রাজশাহীতে ১৪৭ এবং অন্যান্য বিভাগে ৪৪ থেকে ৮৬ জন পর্যন্ত। এসব রোগীর ৮৪ শতাংশই ২১ থেকে ৪৯ বছর বয়সী অর্থাৎ তরুণ ও মধ্যবয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। আক্রান্ত বাকি ১৬ শতাংশের বয়স ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর যতজন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন ৫ শতাংশ। আর এইডসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ শতাংশ, নারী ২২ শতাংশ ও হিজড়া ১ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য সূত্রে জানা যায়, দেশে প্রথম এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয় ১২ হাজার ৪২২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২ হাজার ২৮১ জন। যদিও ইউএনএইডসের অনুমিত হিসাবে দেশে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৪ হাজার।