একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম। তিনি জানান, প্রয়াতের মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। কাল জুমা’র নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বেশ কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। পাঁচদিন ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি রাজধানীর আরও একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান। এর আগে ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতে দীক্ষা নেন পাপিয়া।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাকে ফেলোশিপ প্রদান করে। তিনি ২০২১ সালে একুশে পদক পেয়েছেন।
পাপিয়া সারোয়ার ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। আধুনিক গানেও জনপ্রিয়তা ছিল এই শিল্পীর। তার গাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে বাংলা গানের শ্রোতাদের মাঝে পরিচিতি এনে দেয়।