নরসিংদী সিআর মামলা নং- ১০৪১/ ২৩ মামলায় নরসিংদী অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বেলাবরের আট বছরের মুক্তিযোদ্ধা সহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। মামলাটি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের করেন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমন।
মোট পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। আসামিরা হলো দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের বেলাবো প্রতিনিধি ফয়সালা আহমেদ আব্দুল্লাহ, এই পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রতন, সম্পাদক আশরাফ আলী, দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী এরতেজা হাসান ও বেলাবরের আট বছরের মুক্তিযোদ্ধা শেখ আতাউর রহমান।
মামলাটি প্রথমে ডিবিকে তদন্ত দিলে শুধু ফয়সাল আহমেদ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরবর্তীতে মামলার বাদী না রাজি দিলে পুলিশকে তদন্ত দেয় আদালত। পুলিশ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তিনজন আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রায় এক বছর দুই মাস সংগ্রামের পর মামলার তদন্তে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন বাদী।
মানহানি মামলায় বেলাবরের আট বছরের মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান, বাংলাদেশ বুলেটিনের বেলাব প্রতিনিধি ফয়সালা আহমেদ আব্দুল্লাহ এবং ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী এরতেজা হাসানের বিরুদ্ধে আজ (১৫ ডিসেম্বর) রবিবার আদালত সমনজারি করেন। মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম সুমনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নরসিংদী আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম ইসমাইল (নুরুন্নবী)।
মামলার প্রতিবেদনে জানা যায়, মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমন নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করে অত্যন্ত সুনামের সাথে সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বেলাবলতে আট বছরের এক মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে তথ্য পান। সরজমিন আরো দুই সাংবাদিককে নিয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করে তিনি তার পত্রিকা দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারে” বেলাবোতে সন্ধান মিলেছে আট বছরের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ” শিরোনামের দুটি সংবাদ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি আরো তিনটি পত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা, দৈনিক দেশের পত্র, দৈনিক বজ্রশক্তি। পরবর্তীতে ফয়সাল আহমেদ আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার হলুদ সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে ‘বেলাবতে চাঁদা না দেওয়াই মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ” শিরোনামে এবং ভোরের পাতায় “চাঁদা না দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ ” নামে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করে। যেই সংবাদের কারণে বাদীর সামাজিক এবং পেশাগত সুনাম নষ্ট হয়। প্রকৃত প্রস্তাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ আতাউর রহমানের বয়স ছিল আট বছর ১১ মাস। তার সার্টিফিকেট থেকে এই তথ্যটি পাওয়া যায়।”
এ বিষয়ে মো:শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, অসত্য এবং বাটপারি দীর্ঘদিন টিকে না। সত্য চিরদিনই সত্য। তার মুক্তিযোদ্ধা বাতিলসহ সকল আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমি।