রাজধানীর বংশাল থানাধীন নাজিম উদ্দিন রোডের একটি চারতলা বাসায় মোঃ হাসান বেপারী (১৩) কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
শনিবার(২৩ডিসেঃ)সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে।পরে পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাত সাড়ে বারোটার পাঠানো হয়েছে।
বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)মোঃ দুলাল মিয়া বলেন,
আমরা খবর পেয়েরাতে বংশালের আগামাসিলেন নাজিমুদ্দিন রোডে ৭৭/৩ চারতলা বাসার একটি রুমের লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করি।পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন,
আমরা জানতে পেরেছি নিহত কিশোর মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতো। কি কারনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতোর মামা রিপন বলে,
আমার ভাগিনা বংশালের একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতো। গ্যারেজ থেকে আমার ভাগিনাকে পাঁচ হাজার টাকা দেয় গ্যারেজে মালিক,ওই টাকা জোরপূর্বক নিহতের চাচা নিয়ে নেয় এই নিয়ে হাসান অভিমানে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে নিহতের চাচা জুয়েল হাসানের গ্রামের বাড়ি ফোন দিয়ে বলে যে হাসান এক্সিডেন্টে মারা গেছে। পরে তার বাসা থেকে হাসানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।নিহতের চাচা জুয়েল মাদকাসক্ত ছিলেন।আমাদের ধারণা মাদকের টাকার জন্যই আমার ভাগিনাকে হত্যা করেছে।তিনি জানান,আমার ভাগিনার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর জেলার পূর্ব আদিত্যপুর গ্রামের ফজল বেপারী সন্তান। বর্তমানে,বংশালে আগামাছিলেনে নাজিম উদ্দিন রোডের ৭৭/৩ নম্বর বাসার চারতলা চাচা জুয়েলের বাসায় থাকতো। নিহত দুই বোন এক ভাই সে ছিল সবার বড়।