![](https://bdnews999.com/wp-content/uploads/2025/02/images-8-1.jpeg)
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায় রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীদের হামলার সময় কারাগার ভেঙে শতাধিক নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং আগুনে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে তাদের ওপর এই নির্যাতন করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বিদ্রোহীদের হামলার সময় গোমার মুঞ্জেনজে কারাগারে বন্দী নারীদের ওপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়।
জাতিসংঘের একটি নথির বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, জেলে ভেঙে পালানোর সময় পুরুষ বন্দীরা ১৬৫ থেকে ১৬৭ জন নারীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে হত্যা করে। তবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপপ্রধান ভিভিয়ান ভ্যান ডি পেরে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কারাগার থেকে প্রায় চার হাজার পুরুষ বন্দৈ পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, নারীদের অংশটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা শতাধিক নারীকে ধর্ষণ করা হয়, এরপর তাঁদের কক্ষগুলোতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়।’
রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা গত ২৭ জানুয়ারি গোমার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছানোর পরপরই সেখানে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। তবে কারাগারে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। কারণ জাতিসংঘের তদন্তকারী দলকে সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এম২৩ বিদ্রোহীরা। ফলে এই নৃশংসতার মূল পরিকল্পনাকারীদের সঠিক পরিচয়ও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গোমায় প্রায় দুই হাজার মৃতদেহ এখনো সমাহিত করার অপেক্ষায় রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর সতর্ক করেছে, গোমায় বিদ্রোহী দলগুলো সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে।
গোমার পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, ১০ লাখের বেশি মানুষের শহরটি এখন পুরোপুরি এম২৩ বাহিনীর দখলে রয়েছে। তবে গেল সোমবার হঠাৎ করেই বিদ্রোহীরা একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।
এম২৩ বা মার্চ ২৩ কঙ্গোর তুতসিস আদিবাসীদের একটি বিদ্রোহী সশস্ত্রগোষ্ঠী। এটি এক সময় কঙ্গোর সেনাদের সঙ্গে কাজ করত। তবে ১০ বছর আগে এটি কঙ্গো সেনাবাহিনী থেকে আলাদা হয়ে যায়। ২০২২ সাল থেকেই এম২৩ বিদ্রোহীগোষ্ঠী কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকা দখল নেওয়া শুরু করে।