![](https://bdnews999.com/wp-content/uploads/2025/02/IMG-20250208-WA0046.jpg)
‘২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব ইনশাআল্লাহ। সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আমাদের ব্যানারে হতে পারে অথবা অন্যান্য দলের সাথে সমন্বয় করে হতে পারে, সকলের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে হতে পারে এবং একটি সমন্বিত নির্বাচনও হতে পারে।’
শরীয়তপুরে ১৭ বছর পরে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন।
আজ শনিবার দুপুরে শরীয়তপুর পৌরসভা চত্বরে শরীয়তপুর জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর মাওলানা আবদুর রব হাশেমীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম খান মিলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কিছু জায়গায় সফল হলেও দ্রব্যমূল্য এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি।
রাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা প্রশ্ন করলে মুহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা মনে করি কাল্প্রিটদের বিচার হওয়া দরকার, যারা অপরাধী তাদের বিচার হলে মানুষ এক ধরনের ভরসা পাবে আর উস্কানিমূলক কাজ কাউকেই করা উচিত নয়। কোন ধরনের সহিংসতা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে না।
কর্মী সম্মেলনে শরীয়তপুরের তিনটি সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর মনোনীত তিনজন প্রার্থীকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। তারা হলেন শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে ড. মোশাররফ হোসেন মাসুদ তালুকদার, শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া ও সখিপুর) আসনে অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল ও শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ-গোসাইরহাট) আসনে মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম।
সম্মেলনে জেলার ৬টি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে থেকে জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে অংশ নেয়। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সম্মেলনস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও শামসুল ইসলাম আল বারাতি, শরীয়তপুর জেলার সাবেক আমীর মাওলানা খলিলুর রহমান, ফরিদপুর জেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, গোপালগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক রেজাউল করিম, মাদারীপুর জেলা আমীর মাওলানা মোখলেসুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও শরীয়তপুরের সিনিয়র নায়েবে আমীর কেএম মকবুল হোসাইন, শরীয়তপুর জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ৬ দফা, ১৮ দফা, ১৯ দফা দেখেছে তাতে দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তি মিলেনি। সোনার বাংলা, সবুজ বাংলা, নতুন বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়নি। এবার একদফা দেয়া হয়েছে। সেই একদফা হলো “জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াতের আন্দোলন বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। এটা শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়।
স্থানীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সবার দরজায় এগিয়ে যাবেন। যত বাধা আসবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের সেবার জন্য এগিয়ে যাবেন। আর সবার মতামত নিয়ে নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে।