
গাজীপুরে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পরিকল্পিত হামলায় শিক্ষার্থীদের মারধার ও আহত করার প্রতিবাদে শনিবার বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান সমাবেশস্থলে যান এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফ্যাসিবাদি আমলে আমাকে অন্যায়ভাবে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়েছিল। আপনাদের আন্দোলনের ফলে আপনাদের আন্দোলনের সাথে আমিও আন্দোলন করেছি। এ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন করেছি। তিনি বলেন, আপনাদের শরীরে যে ফ্যসিবাদ বিরোধী রক্ত আমার শরীরেও একই রক্ত।
গত রাতে শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সে জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যারা শিক্ষার্থীদের উপর আঘাত করেছ তাদের প্রত্যেককে ধরে আইনের আওতায় আনা হবে। যে সব পুুলিশ দায়িত্বে অবহেলা করেছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমাবেশে তিনি সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন যেসব পুলিশ ফ্যাসিবাদের সাথে আতাঁত করবে তাদের পুলিশের চাকরি করতে দেওয়া হবে না। এতদিনে যে ফ্যাসিবাদ পুলিশ তৈরী হয়েছে সেই ফ্যাসিবাদ থেকে পুলিশকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গত ১৭ বছর যারা আপনাদেরকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে তারা আবারও এ দেশের উপর জুলুম করেছে এখনো তারা মাথাচারা দিচ্ছে। তাদের এ মাথাচাড়া দেওয়া কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
ধীরাশ্রমে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি শিক্ষার্থীদের জানান।
শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থীদের উপর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সম্মিলিত পরিকল্পিত হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে বারবার পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ উঠে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা ওই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন। পরে বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সদর থানার ওসিকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘোষণা দেন।