
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ মে) বিকালে গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে এবং গঙ্গাচড়া মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
নবদম্পতির পরিবারগুলোকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, খাট, তোশক, বালিশ, কম্বল, আলমারিরসহ সাংসারিক জীবনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব। এর আগে গত ২১ এপ্রিল ঢাকায় একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ে দেওয়া হয়।
যৌতুকবিহীন বিয়ে করে উপহার পেয়েছেন উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের মাসুদ রানা ও শারমিন আক্তার দম্পতি। মাসুদ রানা বলেন, ‘যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া ইসলামী শরিয়ায় হারাম। এ ছাড়া বাংলাদেশের আইনেও নিষেধ। আর যৌতুক দিতে যে একটা পরিবারের কত কষ্ট হয় তা বুঝি। এর জন্য আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যৌতুক ছাড়া বিয়ে করেছি।’
উপহারসামগ্রী পাওয়া অন্য এক দপ্ততি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যৌতুক নিয়ে পরিবারের অনেক ঝামেলা হয়। তাই আমাদের দুই পরিবাবের সিদ্ধান্তে আমরা যৌতুকবিহীন বিয়ে করেছি। আমাদের পরিবারের মাঝে কোনো প্রকার যৌতুক লেনদেন হয়নি। জামায়াতে ইসলামীকে ধন্যবাদ। আমাদের বিবাহত্তর সব খরচ বহন করার জন্য।’
নাহিদ হাসান নামের একজন বলেন, আমাদেরকে ঢাকায় প্লেনে নিয়ে যেয়ে একটি অভিজাত হোটেলে বিয়ে অনুষ্ঠানে করা হয়। আজ আমাদের আসবাপত্র দেওয়া হলো। জামাতে ইসলামীকে ধন্যবাদ আমাদেরকে নিয়ে এধরনের আয়োজন করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আর আমি আমার মুসলিম ভাইদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা বিয়ের সময় শ্বশুর পরিবারের লোকজনকে কষ্ট দিয়ে কিছু নেবেন না। এতে আল্লাহ নারাজ হন।
উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী। এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা নায়েবে আমির তাজ উদ্দিন, সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ রোকনমুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।