
কুমিল্লার হোমনা-চান্দেরচর সড়কের কাচারিকান্দি এলাকায় স্থাপিত পৌর সভার ময়লার ভাগারের পাশে রাস্তার উপরেই নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধে পথচারীসহ এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
ময়লা ফেলার জন্য কাচারীকান্দি এলাকায় পৌর সভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন আছে। সেখানে ময়লা না ফেলে রাস্তার উপর ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত ময়লা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া ময়লা আর দুর্গন্ধে মশা-মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে পুরো এলাকায়। এতে রাস্তায় চলাচলরত তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসির অভিযোগ রাতের আঁধারে পৌরসভার লোকজন গাড়িতে করে ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে রাস্তার উপর ফেলে চলে যায়। এলাকাবাসি প্রতিবাদ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পৌর সভার ভাগারের পাশের জমির মালিক বাগমারা গ্রামের আবদুল করিমের জমিতে ময়লা ফেনা হচ্ছে। জমির মালিক মো. আবদুল করিম জানান, পৌরসভার জায়গায় দেয়াল নির্মান করার কারনে বেশ কিছুদিন ধরে পৌরসভার গাড়িতে করে রাতের আঁধারে রাস্তাসহ আমার জায়গার মধ্যে ময়লা-আবর্জনা ফেলে স্তুপ করছে। এ সব ময়লা আবর্জনা কুকুর শিয়ালে ঘেটে রাস্তার মধ্যে নিয়ে আসছে। এতে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে পুরো এলাকা। দূর্গন্ধে জায়গার নিকটে ও যাওয়া যাচ্ছে না।
এ রাস্তায় চলাচলকারী কয়েকজন জানান, আমরা নানা কাজে প্রায়ই হোমনাতে আসা-যাওয়া করি। কিন্তু এ রাস্তার উপর ময়লা ফেলে রাখার কারনে প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ায়। নাকে-মুখে কাপড় দিয়েও দুর্গন্ধ থেকে থেকে পরিত্রাণ পাওয়া না। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। যাতে নির্দিষ্টস্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে।
এ বিষয়ে হোমনা পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহাম্মেদ মোফাচ্ছের মুঠো ফোনে জানান, হোমনা – চান্দেরচর রাস্তায় কাচারিকান্দি এলাকায় পৌর সভার ময়লার ভাগার রয়েছে। রাস্তার পাশে দেয়াল নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। তাই নিদির্ষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে রাস্তার উপরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা উচিৎ নয়। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।